ভাঙতে হচ্ছে বছিলা ব্রিজ

ভুল পরিকল্পনার মাশুল দিতে ভাঙতে হবে ঢাকার মোহাম্মদপুরে বুড়িগঙ্গা নদীর ওপর নির্মিত শহীদ বুদ্ধিজীবী (বছিলা ব্রিজ) সেতুটি। বুধবার (২৮ জুলাই) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহি কমিটি (একনেক) প্রায় ২ হাজার ৫৭৫ কোটি ৪২ লাখ টাকা ব্যয় সম্বলিত ১০টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে।

এর মধ্যে ৪৯৮ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে আয়রন ব্রিজ পুনঃনির্মাণ-পুনর্বাসন (১ম সংশোধিত) প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়।

প্রকল্পটি প্রসঙ্গে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, প্রতিটা ব্রিজ পরিকল্পনা মাফিক নির্মাণ করতে হবে। ব্রিজ নির্মাণের সময় উচ্চতা ঠিক রাখতে হবে যেন ব্রিজের নিচ দিয়ে কার্গো চলাচল করতে পারে। নুতন প্রকল্পের আওতায় ৮০৫টি ব্রিজ ভাঙতে হবে। ব্রিজ নির্মাণ করতে গিয়ে উচ্চতা ঠিক রাখতে হবে। যেমন বছিলা ব্রিজ ভাঙার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। বর্ষার কারণে কার্গো জাহাজগুলো ব্রিজের নিচে দিয়ে যেতে পারে না। ব্রিজটি আরো উঁচু করতে হবে।

বেড়িবাঁধ চৌরাস্তা থেকে শহীদ বুদ্ধিজীবী সেতু পর্যন্ত বুড়িগঙ্গাপাড়ের এলাকাটি বছিলা নামে পরিচিত। এই সেতুকে বছিলা ব্রিজ বা তৃতীয় বুড়িগঙ্গা সেতু নামেও ডাকা হয়। যা মোহাম্মদপুরের সঙ্গে কেরানীগঞ্জকে যুক্ত করেছে।

২০০৯ সালের ২৯ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতুটি উদ্বোধন করেন। বছিলা এলাকাটি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত। প্রায় ৮৪ কোটি ৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ৭০৮ মিটার দৈর্ঘ্যের শহীদ বুদ্ধিজীবী সেতুটি নির্মাণ করা হয়।

বছিলা ব্রিজ ভাঙা প্রসঙ্গে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী আবদুস সবুর বলেন, বছিলা ব্রিজ ভাঙার বিষয়ে এখনো আমাদের কাছে কোরনো নির্দেশনা আসেনি। তবে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে বিস্তারিত জানতে পারবো।