মঠবাড়িয়ায় শিক্ষা কর্মকর্তাকে স্ট্যান্ড রিলিজ

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ ইউনুস আলী হাওলাদারকে মঠবাড়িয়া থেকে ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে ৭ নভেম্বর এক অফিস আদেশে তাকে এ বদলি করা হয়।

অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়, তিনি বর্তমান কর্মস্থলের দায়িত্বভার ১৪ নভেম্বর ২০২১ তারিখের মধ্যে হস্তান্তর করবেন।অন্যথায় ১৫ নভেম্বর ২০২১ তারিখ থেকে তাৎক্ষণিক অবমুক্ত (Stand Released) বলে গন্য হবেন।

মঠবাড়িয়া উপজেলার ১৪৬ নং নলী চান্দখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও সরকারী বরাদ্দ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। বদলিকৃত সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ ইউনুস আলী হাওলাদার ওই বিদ্যালয়ের ক্লাস্টার অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন।প্রধান শিক্ষক ও সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টার অফিসারের যোগসাজশে এ অনিয়ম ও দুর্নীতি করা হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

এলাকাবাসীর গণস্বাক্ষর নিয়ে বিদ্যালয়টির অন্যতম জমিদাতা ও সাবেক সভাপতি আশ্রাব আলী আকন ওরফে জসিম কন্ট্রাক্টর সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ প্রেরন করেন।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের বিভাগীয় উপ পরিচালক অভিযোগ তদন্তের জন্য মঠবাড়িয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসে ইতোমধ্যে একটি নোটিশ প্রেরন করেন। তবে তদন্ত কর্মকর্তার নাম ওই নোটিশে উল্লেখ করা হয় নি বলে জানায় শিক্ষা অফিস।

তদন্ত প্রমানিত হলে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক দিপংকর হাওলাদার ও সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ ইউনুস আলীকে কারণ দর্শানোপূর্বক চাকুর
থেকে বহিষ্কার করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন স্হানীয় শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিরা। তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনেও মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান স্হানীয়রা।

অভিযোগের ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক দিপংকর হাওলাদার জানান, অভিযোগকারী জসিম কন্ট্রাক্টর ২০১৮ – ১৯ অর্থ বছরের বিদ্যালয়ের উন্নয়নের ৭০ হাজার টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করেন।

জসিম কন্ট্রাক্টর বলেন, আমি বিদ্যালয়ে ৭০ হাজার টাকার সিমেন্ট ও বালু কিনে দিয়েছি। তারপরেও আমার বিরুদ্ধে কথা বললে আমি ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করব।

সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ ইউনুস আলী হাওলাদার জানান, বিদ্যালয়টিতে শতভাগ সঠিক কাজ করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষক ও আমার বিরুদ্ধে অনিয়মের যে অভিযোগ করা হয়েছে তা ভিত্তিহীন। জমিদাতারা বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সদস্য পদ নিয়ে দ্বন্ধে জড়িয়ে পড়েন। প্রধান শিক্ষক জমিদাতা জসিম কন্ট্রাক্টরের পক্ষপাতিত্ব না করায় এ অভিযোগ করা হয়েছে।