মশার বিরুদ্ধে মহারণে নেমেছেন মেয়র

চারদিকে সাজ সাজ রব। সারিবদ্ধভাবে সাজিয়ে রাখা হয়েছে অসংখ্য কামান। কামান দাগানোর প্রয়োজনীয় রসদও মজুদ করা হয়েছে। কে কোথায় কামান দাগাবেন তা নিয়েও চলছিল মহাপরিকল্পনা। কেউ কেউ আবার বলছিলেন, আজ খবর আছে।

শনিবার বেলা আনুমানিক সাড়ে ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের সামনে এ দৃশ্য দেখা যায়। পথচারীরা সবাই বলাবলি করছিল এ কিসের প্রস্তুতি।

যুদ্ধাংদেহী এ প্রস্তুতি মশার বিরুদ্ধে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকনের। চিকুনগুনিয়াবাহী এডিস মশা নিধনে শনিবার তিনি মহারণে নেমেছেন।

ডিএসসিসির একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অঞ্চল-১ এর ৭ ওয়ার্ডে বিশেষ মশক নিধন কর্মসূচি চালানো হবে। তিন শতাধিক মশক কর্মী এ কার্যক্রমে অংশ নেবেন। মেয়র এ বিশেষ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশেষ এ অভিযানে ১২১ ক্রু ও ১৬৬ জন সুপারভাইজার অংশ নেবেন। মশার বিরুদ্ধে পরিচালিত এ সাঁড়াশি অভিযানে ২১৬ ফগার মেশিন ও ৪৫টি হস্তচালিত মেশিন ব্যবহার হবে। এছাড়া এ বিশেষ অভিযানে মোট ৯২ গ্যালন মশা নিধন ওষুধ ব্যবহৃত হবে।

ডিএসসিসি কর্মীরা যখন অভিযানের প্রস্তুতি নিয়ে মহাব্যস্ত তখন পথচারীদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সানজিদা তাহের দাঁড়িয়ে ফগার ও হস্তচালিত মেশিনে মশার ওষুধ পূর্ণ কীভাবে করেন তা দেখছিলেন।

এ প্রতিবেদককে তিনি বলেন, যখন প্রয়োজন ছিল তখন ডিসিসি কর্মীদের দেখা যায়নি। হাজার হাজার মানুষ আক্রান্ত হওয়ার পর মহারণে নেমেছেন নগরপিতা।

এ কথা শুনে পাশে দাঁড়ানো এক সুপারভাইজার বলে ওঠেন, মশার ওষুধ সব সময়ই ছিটানো হয়েছে। তবে চিকুনগুনিয়া নিয়ে মিডিয়া একটু বেশি বাড়াবাড়ি করেছে।