মাইক্রোবাসে ট্রাকের ধাক্কায় দুই কলেজ ছাত্রীসহ নিহত ৩

কুমিল্লার চান্দিনায় দুটি মাইক্রোবাসে বালুবাহী ট্রাকের ধাক্কায় কলেজছাত্রীসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় শিশুসহ আহত হয়েছেন আরও ১০ জন। বুধবার বেলা পৌনে ২টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চান্দিনা উপজেলার গোবিন্দপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার প্রেমু গ্রামের আব্দুল ওহাবের মেয়ে পপি আক্তার (১৮), একই গ্রামের মরিয়ম আক্তার মুনমুন (১৮) ও মনোহরগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের লাভলী আক্তার (২৮)। নিহতদের মধ্যে পপি ও মুনমুন চান্দিনা মহিলা ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী।

আহতরা হলেন- কুমিল্লার ময়নামতি পরিজপুর এলাকার আব্দুল কাইয়ুম (৩৫), মনোহরগঞ্জ এলাকার মহিউদ্দিন (২৫), সামছুল হুদা (৪৫), মনোহরগঞ্জ উপজেলাধীন দুর্গাপুর গ্রামের রাফি (৫), রাহিমা (৫৫), ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাছিরনগর উপজেলার রসুলপুর গ্রামের রাসেলসহ আরও ৫/৬ জন। তাদেরকে কুমিল্লা ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মাইক্রোবাস যাত্রী আহত সামছুল হুদা জানান, তিনি চান্দিনা বাস স্টেশন থেকে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট যাওয়ার উদ্দেশে মাইক্রোবাসে ওঠেন। ওই মাইক্রোবাসে কলেজছাত্রীসহ আরও অন্তত ১০ জন ছিল। গোবিন্দপুর স্টেশনে পৌঁছার পর যাত্রী নামানোর জন্য গাড়িটি থামে। এ সময় পেছনের একটি মাইক্রোবাস সেটিকে ওভারটেক করছিল। ওই মুহূর্তে পেছন থেকে ছুটে আসা দ্রুতগামী বালুবাহী ট্রাক দু’টি মাইক্রোবাসকে পেছন থেকে ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

হাইওয়ে পুলিশের ময়নামতি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হারাধন চন্দ্র দাস জানান, একটি মাইক্রোবাস চান্দিনা থেকে ক্যান্টনমেন্ট যাচ্ছিল অপরটি বিদেশি যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে যাচ্ছিল। মাইক্রোবাসটি যাত্রী নামানোর সময় পেছন থেকে ট্রাকটি ধাক্কা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে লাভলী আক্তার নিহত হন। এছাড়াও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর বিকেলে পপি আক্তার ও হাসপাতালে নেয়ার পথে মুনমুন আক্তার নিহত হন।

তিনি আরও জানান, দুর্ঘটনা কবলিত মাইক্রোবাসগুলো উদ্ধার করা হয়েছে তবে ঘাতক ট্রাকটি আটক করা সম্ভব হয়নি।