মার্কিন সন্ত্রাসবাদের তালিকা থেকে মুক্ত সুদান

২৭ বছর পর রাষ্ট্রীয়ভাবে সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নকারী দেশের কালো তালিকা থেকে মুক্তি পেয়েছে সুদান। সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে সুদানকে এ তালিকা থেকে বাদ দেয় যুক্তরাষ্ট্র।

খার্তুমে মার্কিন দূতাবাস এ ঘোষণা দিয়েছে। সোমবার থেকেই এটা কার্যকর হয়েছে।

মার্কিন দূতাবাসের ফেসবুক পেইজে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, কংগ্রেসকে পাঠানো নোটিশের ৪৫ দিন শেষ হয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুদানকে সন্ত্রাসবাদে সহায়তাকারী রাষ্ট্রের তালিকা থেকে বাদ দিতে প্রজ্ঞাপনে সই করেছেন। ১৪ ডিসেম্বর থেকে এ ঘোষণা কার্যকর হয়েছে। কেন্দ্রীয় রেজিস্টারে এ নির্দেশনা প্রকাশ করা হয়েছে।

সুদানকে মার্কিন কালোতালিকা থেকে মুক্ত করা দেশটির অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য অত্যন্ত গুরুত্ব ছিল। গেল বছরের আগস্টে দীর্ঘদিনের শাসক প্রেসিডেন্ট ওমর আল বাশিরকে অব্যাহত বিক্ষোভ-আন্দোলনের মাধ্যমে সরিয়ে ক্ষমতায় আসে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

বাশির সরকার রাষ্ট্রীভাবে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে সহায়তা দিচ্ছে-এমন অভিযোগে ১৯৯৩ সালে সুদানকে কালো তালিকাভুক্ত করে যুক্তরাষ্ট্র।

মার্কিন এ সিদ্ধান্তের ফলে আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে আর্থিক এবং অতিপ্রয়োজনীয় সহায়তা পাওয়ার যোগ্যতা হারায় সুদান।

১৯৯৮ সালে কেনিয়া এবং তানজানিয়ায় মার্কিন দূতাবাসে সশস্ত্রগোষ্ঠীর হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের সাড়ে ৩৩ কোটি মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দেয়ার পর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অক্টোবরে জানান, সুদানকে কালোতালিকা থেকে বাদ দিতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

২৬ অক্টোবর কংগ্রেসে নোটিশ পাঠান ট্রাম্প। কংগ্রেসের আপত্তি না থাকলে মার্কিন আইন অনুযায়ী ৪৫ দিন পরে কোনো দেশ তালিকা থেকে বাদ বেরিয়ে আসে। হয়েছেও তাই। কংগ্রেস কোনো আপত্তি জানায়নি।

সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং বাহরাইনকে অনুসরণ করে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য সুদানকে আহ্বান জানান ট্রাম্প। যদিও শুরুতে বিষয়টি ততটা গুরুত্ব দেয়নি খার্তুম। পরে আবুধাবি, মানামার দলে যোগ দেয় খার্তুম। সবশেষ মরক্কোও তাদের পথ অনুসরণ করে। গেল তিন মাসে চারটি আরব দেশ ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকে চুক্তি সারলো।

সন্ত্রাসবাদে রাষ্ট্রীয়ভাবে অর্থায়নের অভিযোগে বর্তমানে ইরান, উত্তর কোরিয়া এবং সিরিয়া মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কালো তালিকাভুক্ত।