মিয়ানমারে নিষিদ্ধ হলো সুচির রাজনৈতিক দল

মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সুচির রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি)’কে নির্বাচনে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে মিয়ানমারের সামরিক সরকার নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন কমিশন। কারণ দলটি একটি পরিকল্পিত সাধারণ নির্বাচনের জন্য নিবন্ধন করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তারা এটিকে জাল বলে নিন্দা করেছে।

সমালোচকরা বলছেন, সেনাশাসিত একটি দেশ যেটি মুক্ত গণমাধ্যম বন্ধ করে দিয়েছে এবং সু চির ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির বেশিরভাগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে সেই দেশের নির্বাচন অবাধ বা সুষ্ঠু হবে না।

আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, মিয়ানমারের মোট ৪০টি রাজনৈতিক দল নির্বাচনের জন্য ক্ষমতাসীন সামরিক বাহিনীর দ্বারা ঘোষিত নিবন্ধনের সময়সীমা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। যার মধ্যে একটি দল হল ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সুচি ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি)।

দলটি ২০২০ সালের নভেম্বরের সাধারণ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় লাভ করেছিল। কিন্তু তিন মাসের কম সময় পরে সেনাবাহিনী তাকে এবং সমস্ত নির্বাচিত আইনপ্রণেতাদেরকে সংসদে ক্ষমতা বুঝে নিতে বাধা দেয়। তার সরকার এবং দলের শীর্ষ সদস্যদেরকে আটক করা হয়।

সামরিক সরকার জানুয়ারি মাসে নতুন একটি রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইন প্রণয়ন করেছে। এই আইন বিরোধী দলগুলোর পক্ষে তাদের পছন্দের প্রার্থীদের জন্য গুরুতর একটি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা কঠিন করে তোলে।

আইনটি ঘোষণার কয়েকদিন পরেই ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি এটি প্রত্যাখ্যান করেছে, সেইসাথে বলেছে যে, সেনা-পরিকল্পিত নির্বাচন অবৈধ এবং এটি একটি “ছদ্ম নির্বাচন”।

শনিবার রাষ্ট্রচালিত দৈনিক পত্রিকা মিয়ানমার অ্যালিন জানিয়েছে, মোট ৫২টি রাজনৈতিক দল নতুন আইনের অধীনে নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছে। ১২ জন জাতীয় পর্যায়ে এবং ৪০ জন অঞ্চল ও রাজ্য পর্যায়ে নির্বাচনের জন্য আবেদন করেছে। কমিশন অবশ্যই তাদের আবেদন অনুমোদন করবে।

এদিকে সুচির দল এনএলডির একজন নির্বাচিত আইন প্রণেতা বো বো উ গতকাল মঙ্গলবার একটি বিবৃতিতে জানান, “আমরা এমন সময়ে নির্বাচন মেনে নেব না। অনেক রাজনৈতিক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে এবং জনগণকে সামরিক বাহিনী দ্বারা নির্যাতন করা হচ্ছে।”