মুরগি ছানাকে দত্তক নিল বানর, ছবি দেখলে মন ভালো হয়ে যাবে

নিঃসন্তান দম্পতি অনেকসময় সন্তান দত্তক নেয়৷ এমনকি ইদানিং মানুষের পশুপাখি দত্তক নেওয়ার প্রবণতাও বেড়েছে৷ কিন্তু এমন কথা কে কবে শুনেছে? বানর কিনা দত্তক নিল মুরগি?

বিশ্বাসযোগ্য নয়৷ কিন্তু এমনটাই হয়েছে ইজরায়েলের এক চিড়িয়াখানায়৷ চিড়িয়াখানার নাম রামত গান সাফারি পার্ক৷ তেল অ্যাভিভের কাছে অবস্থিত চিড়িয়াখানাটি৷ এক একাকী বানর তার একাকিত্ব ঘোচানোর জন্য দত্তক নিল একটি বাচ্চা মুরগি৷ বানরের নাম নিভ৷ ইন্দোনেশিয়ার ব্ল্যাক মেকাকি (এক জাতীয় ছোটো বানর)৷
কাগজে কলমে লেখাপড়া করে নিভ তার নতুন সন্তানকে দত্তক নেয়নি৷ ফলে আইনত তার উপর দায়িত্বও বর্তায় না৷ কিন্তু তার জন্য আদরের কোনও কমতি নেই নিভের৷ ছোটো মুরগির ছানাকে সে সোহাগে ভরিয়ে রেখেছে৷ সারাদিন তার কাটছে মেয়ের সঙ্গে খেলা করে৷

চিড়িয়খানার মুখপাত্র মোর পোরাত জানিয়েছেন, ৪ বছর বয়স হয়ে গেছে নিভের৷ কিন্তু যৌনসঙ্গী সে এখনও খুঁজে পায়নি৷ সম্ভবত সেই কারণেই সে মানসিক চাহিদার দিকে নজর দিয়েছে৷ মুরগি দত্তক নেওয়া তার কাছে মাতৃত্বের বহিঃপ্রকাশ৷ মুরগির বাচ্চাকে সে মায়ের মতোই দেখাশোনা করছে৷

মেয়ের এখনও কোনও নাম ঠিক হয়নি৷ তবে নতুন মায়ের সঙ্গে ভালোই মিশে গেছে সে৷ পোরাত জানিয়েছেন, “এটি এক আশ্চর্য সম্পর্ক৷ সচরাচর দেখা যায় না৷ সাধারণত এই প্রজাতির বানররা মুরগি দেখলে মেরে খেয়ে ফেলে৷ অথবা যতক্ষণ না মুরগিটি মারা যাচ্ছে, ততক্ষণ তাড়িয়ে বেড়ায়৷ কিন্তু নিভ খুব খুশি৷ আমরা একজন সারোগেটেড মাদার পেয়েছি৷ ওরা রাতে একসঙ্গে শোয়৷ ঠিক মা-মেয়ের মতো৷”

বাকি ব্ল্যাক মেকাকিদের মতো নিভও যাতে মুরগিদের না মেরে ফেলে, সেই কারণে তাকে আলাদা রাখা হয়েছিল৷ তার ফলও পাওয়া যায় হাতেনাতে৷ কয়েকমাস আগে নিভ একটি মুরগি দত্তক নিতে চেয়েছিল৷ কিন্তু সেই মুরগিটি তার সঙ্গ মেনে নিতে পারেনি৷

মানুষ অনেকসময় দুটি আলাদা প্রজাতির পশুদের মধ্যে বন্ধুত্ব করায়৷ কিন্ত তার পিছনে কারণ থাকে৷ একটি নতুন প্রজাতি উৎপন্ন করা৷ কিন্তু এক্ষেত্রে তা হয়নি৷ পোরাতের মতে ওই মুরগিটি চিড়িয়াখানার নয়৷ কোথা থেকে যে এল, তারও কোনও সন্ধান নেই৷-কলকাতা২৪।