মেয়ের ইটের আঘাতে মায়ের মৃত্যু

দক্ষিণ সুনামগঞ্জের কুতুবপুর গ্রামে মেয়ের ইটের আঘাতে মায়ের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে রাত ১০টায় দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার শিমুলবাক ইউনিয়নের আক্তাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত শফিকুন নেছা আক্তাপাড়া গ্রামের ইস্কন্দর আলীর স্ত্রী। ঘাতক হালিমা বেগম (২২) দুই সন্তানের জননী ও সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তবে হালিমা মানসিক ভারসাম্যহীন বলে জানিয়েছেন তার স্বজনরা।

পারিবারিক সূত্র জানায়, নিহত সফিকুন নেছার মেয়ে হালিমা মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন। গত ৩-৪ বছর পূর্বে হালিমা বেগমকে সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার কামলাবাজ গ্রামে আলী নুরের সাথে বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের পর বেশিরভাগ সময়ই মানসিক ভারসাম্যহীন থাকায় হালিমা বেগম তার বাবার বাড়ি আক্তাপাড়া গ্রামে বসবাস করে আসছিলেন।

সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) রাত ১০ টায় তার মা সফিকুন নেছা হালিমা বেগমের রাতের বিছানা গুছিয়ে খাবার দিতে গেলে লোহার শিকলে বাঁধা হালিমা বেগম পাশে থাকা ইট দিয়ে তার মা সফিকুন নেছার মাথায় উপর্যুপরি আঘাত করেন। এতে সফিকুন নেছার মাথা থেঁতলে যায়।

তাৎক্ষণিকভাবে পরিবারের লোকজন সফিকুন নেছাকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে মঙ্গলবার রাত ২টায় কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পরে সুনামগঞ্জ সদর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী মোক্তাদির হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।