যশোরের রাজগঞ্জে মাঠজুড়ে সবুজ আর সবুজ

যশোরের মনিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ অঞ্চলের আবাদি মাঠ সবুজে ভরে উঠেছে। রাজগঞ্জের মাঠজুড়ে সবুজ আর সবুজ। যতোদুর চোখ যায়, ততোদুর চোখে পড়ছে শুধু আমনের সবুজ ধান ক্ষেত। সবকিছু সবুজে একাকার। যেন সবুজ চাদর বিছানো সমতল।

সকালের সূর্যের আলো ছড়িয়ে দেয় এক ধরনের মুগ্ধতা, দুপুরে অন্যরকম, বিকেলের গোধুলীর রং ছড়িয়ে পড়ে সবুজ ঘেরা মাঠে। রাজগঞ্জ অঞ্চলে এবার আমনের ফলন ভালো হবে, এমন আশাবাদ ব্যক্ত করছেন কৃষকরা। এখন কৃষকেরা আমন ধান ক্ষেতে আগাছা পরিস্কার করাসহ সার, কীটনাশক প্রয়োগ করছেন। ধান গাছের বাড়ন্ত দেখে কৃষকেরা মনের আনন্দে ধান ক্ষেতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। রাজগঞ্জের কিছু এলাকার ঘুরে দেখা যায়, মৃদু বাতাশে দুলছে ক্ষেতের ধান গাছ। বর্তমানে আমন ধানের গাছগুলোতে শিষ বের হচ্ছে। আর কিছুদিন পরেই সম্পূর্ণরূপে ধানক্ষেতগুলোয় ধানের শিষে ভরে যাবে। কৃষকরা বলছেন- এবছর আবহাওয়া শেষ মুহুর্তে এসে অনুকূলে রয়েছে। এখন যে পরিমান বৃষ্টি হচ্ছে, তাতে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা না। রোদও পাওয়া যাচ্ছে। তাই ধানের ফলন ভালো হবে, এমন আশা করছেন কৃষকেরা। ধানের শিষে নতুন স্বপ্ন বুনছেন তারা।

কৃষকরা জানান- ধান ক্ষেতে কীট-পতঙ্গ পোকা মাকড়ের আক্রমণ বেড়েছে। সার কীটনাশক, শ্রমিকের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে আমন আবাদে খরচের পরিমাণ বেড়েছে। স্থানীয় কৃষক সিরাজুল ইসলাম জানান- এবারে ধানের দাম ভালো পাবো বলে আশা করছি। আমরা কৃষক মানুষ। খাবারের জন্য কিছু ধান জমা রাখতে হয়। কিছু ধান বিক্রি করে সারা বছরের কেনা কাটা, বাচ্চাদের লেখাপড়ার খরচ মেটাতে হয়। গৃহস্থালি কাজ কাম তো আছেই। সবকিছুর দাম বেড়ে গেছে। তাই উৎপাদিত ধানের ন্যায্য দাম না পেলে খুব অসুবিধা হবে। ইউনিয়ন কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ বলছে- এবার ইমন ধান উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হবে। ইউনিয়ন উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা ভগিরথ চন্দ্র বলেন- রাজগঞ্জের আমন ধানের ক্ষেত সবুজে ভরে গেছে। এবছর আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে। আমনের আবাদ ভালো হবে, আশা করছি। এরপর ধানের দামও ভালো পাবে কৃষকেরা এই আশা করছি।