যে কারণে তিনি ‘ব্রিটিশ ট্রাম্প’

যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আজ যে টরি নেতা ক্ষমতায় আসীন হচ্ছেন, সেই বরিস জনসনকে অনেকে ‘ব্রিটিশ ট্রাম্প’ বলে অভিহিত করেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তার স্বভাব ও নীতির অনেক মিল থাকায় এমন ‘খেতাব’ পেয়েছেন সাবেক এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ট্রাম্প ও জনসনÑ প্রকাশ্যে দুজন দুজনার প্রশংসাও করেছেন একাধিকবার।

ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেন্ডেন্ট লিখেছে- দুজনই জাতীয় সার্বভৌমত্ব নিজেকে সেরা বলে ঘোষণা দিয়েছেন। অভিবাসন নীতিতে দুজনেই কড়াকড়ি। তারা মনে করেন, যারা তাদের দেশে প্রবেশ করছেন, তারা সব অপরাধী ও অবৈধ। নারীকে তথাগত বৈষম্য ও বিদ্বেষের এবং ‘বস্তু’ হিসেবেই দেখেন দুজনে। কেউ কেউ বলেন, দুজনের চুল ও চেহারায়ও বেশ খানিকটা মিল আছে।

মার্কিন হাউসের সাবেক স্পিকার নিউট গিনগ্রিচ টুইটারে গতকাল লিখেছেন, ‘বরিস জনসন হলেন ব্রিটেনের ডোনাল্ড ট্রাম্প। সিট বেল্ট বাঁধুন এবং উল্টোপাল্টা রাইডের জন্য প্রস্তুত থাকুন।’ তুলনা করতে তিনি লিখেছেন, ‘বুনো চুলওয়ালা মার্গারেট থ্যাচারের কথা ভাবুন।’

মঙ্গলবার ট্রাম্প টুইট করেছেন, ‘যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার জন্য বরিস জনসনকে অনেক অভিনন্দন। তিনি অনেক মহান হবেন।’ ওদিকে জুনে জনসন বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অনেক ভালো গুণ আছে। মার্কিন অর্থনীতিকে তিনি চাঙ্গা করেছেন। এ জন্য তাকে আমাদের সাধুবাদ জানানো উচিত।’