যৌতুকের টাকা না পেয়ে যৌন উত্তেজক বড়ি খেয়ে বিকৃত সঙ্গম: হাসপাতাল কাঁতরাচ্ছেন নববধূ!

যৌতুকের টাকা না পেয়ে যৌন উত্তেজক বড়ি খেয়ে নববধুর (১৯) পায়ুপথে সঙ্গম করেছে পাষন্ড স্বামী। অসহ্য ব্যাথায় নববধূ মিনতিও পাষন্ড স্বামীর মন গলাতে পারেননি। অতিরিক্ত রক্ষকরণ হওয়ায় মিনতি চিৎকার করলে প্রতিবেশিরা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। গত রবিবার গভীর রাতে নাটোরের গুরুদাসপুর পৌর সদরের ২নং ওয়ার্ডের পার-গুরুদাসপুর মহল্লায় ঘটনাটি ঘটে। পরে ওই গৃহবধুর পিতা মো. রাশিদুল ইসলাম বাদী হয়ে মেয়ে জামাই মুক্তার হোসেনকে আসামী করে গুরুদাসপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
বুধবার (২৬ জানুয়ারি) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক আরিফা আফরোজ বানু জানান, ওই নববধু বিকৃত যৌণাচারের আলামত নিয়ে চিকিৎসা কেন্দ্রে আসেন। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যৌণ অনাচারের বর্ণনা রোগীর মুখে শুনেছি, তবে ঘটনার দুদিন পরে চিকিৎসা নিতে আসায় স্বল্প আলামত পাওয়া গেছে। তিনি হাসাপাতালে ভর্তি আছেন।
ভুক্তভোগী নববধূর পরিবার ও মামলার নথি সুত্রে জানা যায়, গত ৭মাস আগে পারিবারিকভাবে পার-গুরুদাসপুর মহল্লার মানিক উল্লার ছেলে মুক্তার হোসেনের (৪০) সাথে মিনতির বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকলোভী স্বামী মুক্তার কারণে অকারণে নববধূকে শারিরীক ও মানষিকভাবে নির্যাতন চালিয়ে আসছিলেন। একপর্যায়ে রবিবার গভীর রাতে মুক্তার যৌণ উত্তেজক বড়ি খেয়ে স্ত্রীর যৌনাঙ্গে ও পায়ুপথে উপর্যপোরী নির্যাতন করায় অতিরিক্ত রক্ষক্ষরণ হয়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে অসুস্থ্য নববধূ হাসপাতালের বেডে কাঁতরাচ্ছেন।
নির্যাতিত নববধূ জানান, বিয়ের পর থেকেই নিয়মিত যৌণ উত্তেজক বড়ি খেয়ে তাঁকে বিকৃত যৌণ নির্যাতন করতেন স্বামী মুক্তার হোসেন। নিষেধ করলে তিনি শারিরীকভাবে নির্যাতন করতেন। স্বামীর দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবী করেন ওই গৃহবধু।
অভিযুক্ত স্বামী মুক্তার হোসেন যৌন উত্তেজক বড়ি সেবনের কথা স্বীকার করে মুঠোফোনে জানান, তার স্ত্রী গর্ভবতী। বেশ ক’দিন বিরতির পর তার সাথে শারিরিক মিলনের কারণে রক্তক্ষরণ হয়েছে বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল মতিন জানান, মামলার পরিপ্রেক্ষিতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।