রংপুরের পীরগঞ্জে বেহাল দশায় গ্রামীণ জনপদের পাকা রাস্তা

উন্নয়নের পূর্ব শর্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটলে এলাকা তথা দেশের আর্থসামাজিক ও সার্বিক উন্নয়নসহ অর্থনীতির চাকা সচল থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু রংপুরের পীরগঞ্জের গ্রামীণ জনপদের অধিকাংশ সড়কগুলো পাকা করণের কাজ শেষ হতে না হতেই বালুবাহী ভারি যানবাহনের চাকায় পিষ্ট হয়ে সড়কগুলো ভেঙ্গে ধ্বসে যাচ্ছে।

সদ্য সমাপ্ত পাকাকরণ সড়কগুলো যেন ধুলা-মাটির সড়কে পরিণত হয়েছে। কোথাও কোথাও পাকা সড়কের চিহ্ন পর্যন্ত নেই। আবার কোথাও দশ চাকার বালুবাহী ড্রামট্রাক যাতায়াতের কারণে সড়ক ফেটে ও দেবে গিয়ে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। অথচ গ্রামীণ জনপদের এসব সড়কগুলোর ধারণ ক্ষমতা ৩ থেকে ১০ টন। কিন্তু দশ চাকার ট্রাকগুলো বহন করছে ২৫ থেকে ৩০ টন ওজনের বালু।

শুধু তাই নয়, দ্রুতগামী এসব ভারি যানবাহন চলাচলের কারণে রাস্তার দু’ধারের দোকানপাট, ঘর-বাড়িগুলো প্রত্যহ ধুলা বালু দিয়ে সয়লাব হচ্ছে। ফলে সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষগুলো চরম দুর্ভোগ পোহালেও যেন দেখার কেউ নেই।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রংপুর-ঢাকা মহাসড়কে ফোর লেন রাস্তা নির্মাণের কাজে বালু সরবরাহ করতে গিয়ে দশ চাকার ট্রাক চলাচলের কারণে গ্রামীণ উন্নয়ন অবকাঠামোর আওতাধীন উপজেলার টুকুরিয়া ইউনিয়নের মোনাইল হতে বিছনা গ্রামের সড়ক, লালদিঘী বাজার হতে ঝোরারঘাট, কাঁচদহ হতে খালাশপীর- পীরগঞ্জ সড়ক, লালদিঘী হতে বালুয়া, বড়দরগাহ্ ভেন্ডাবাড়ী পীরেরহাট হতে টুকুরিয়া ও গোপালপুর সড়কের বেহাল দশা। এলাকাবাসী যথাযথ কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।