রংপুরের পীরগঞ্জ ছাতুয়া মাদ্রাসা সুপারের একাধিক অভিযোগে শিক্ষা অধিদপ্তরের তদন্ত

রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার ছাতুয়া দ্বি-মুখী দাখিল মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুনীতির বিষয়ে এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ঠ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগের পাহাড় গড়েছেন। এরই প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে উক্ত মাদ্রাসায় এলাকাবাসী, অভিযোগকারী, মাদ্রাসার সুপার, কমিটির সদস্য সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার প্রায় ৪ শতাধিক মানুষের উপস্থিতিতে এর তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত তদন্তের সমন্বয়কের দায়িত্বে ছিলেন-উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল মোমিন মন্ডল।

অভিযোগে জানা গেছে, মাদ্রাসাটির সুপার এ কে এম শহিদুল ইসলাম মাদ্রাসাটির জমিদাতা পরিবারের সদস্য হিসেবে হারুনার রশিদ ও তার স্ত্রীকে নিরাপত্তা কর্মি ও আয়া পদে চাকুরি দেয়ার কথা বলে বিগত ০২/০৪/২০ ইং তারিখ ৪ লক্ষ টাকা গ্রহন করে। পরবর্তিতে উক্ত সুপার আয়া পদে ছাতুয়া গ্রামের রফিক মিয়ার স্ত্রী কলসুমা খাতুন এর কাছ থেকেও ৩ লক্ষ টাকা গ্রহন করেন। বিষয়টি জানতে পেরে হারুনার রশিদ উক্ত সুপারের সঙ্গে কথা বললে তিনি তার কাছে চাকুরির জন্য ১৬ লক্ষ টাকা দাবী করেন। এ ছাড়া মাদ্রাসাটির জমি দাতা আলহাজ¦ লুৎফর রহমানকে নিয়ম বহির্ভত ভাবে প্রতিষ্ঠাতা সদস্য থেকে বাদ দেয়াসহ, মাদ্রাসাটির ৬০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ২১ ফুট প্রস্থ একটা পুরাতন ভবন নিয়ম বহির্ভুত ভাবে বিক্রির অর্থ আত্মসাৎ, জহুরুল হক নামে একজনকে শিক্ষক হিসেবে চাকুরির প্রলোভনে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাৎ, মাদ্রাসায় ভুয়া শিক্ষার্থী ভর্তি দেখানো, এলাকাবাসীর সঙ্গে অসদাচারনসহ উক্ত মাদ্রাসায় মোট শিক্ষার্থী ৩’শ দেখানো হলেও মূলত প্রকৃত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৬০ জন। আর বাকী এ সকল ছাত্র/ছাত্রী গুলোর প্রায়ই উচ্চ মাধ্যমিক ও বিশ্ব বিদ্যালয়েয় পড়ুয়া ছাত্র।

এ সকল একাধিক অভিযোগ এলাকাবাসী উপজেলা ও জেলা শিক্ষা অধিদপ্তরে দিয়েও কোন ফল না পাওয়ায় বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড এ অভিযোগ করেন। এরই প্রেক্ষিতে মাদ্রাাসা বোর্ড পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকতাসহ জেলা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মর্তাকে স্বশরীরে উক্ত মাদ্রাসায় এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে অনিয়ম তদন্তের নির্দেশ দেয়। তদন্তে এলাকার প্রায় ৪ শতাধিক এলাকাবাসীসহ অভিযোগ কারীগন উপস্থিত থেকে মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য প্রদান করেন।

তদন্তের ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল মোমিন মন্ডল বলেন-তদন্তে অনেকের কথা শুনেছি এবং পর্যাপ্ত কাগজপত্র পেয়েছি। এ গুলো পর্যালোচনা করে তদন্ত রিপোর্ট দেয়া হবে। এলাকাবাসী অভিযুক্ত সুপার শহিদুল ইসলামের কঠিন শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।