রহমতের শেষ রোমাঞ্চের আগেই জিতলো আফগানিস্তান

কালাম ম্যাকলিডের সেঞ্চুরিতে ৭ উইকেটে ৩২৫ রানের পাহাড় গড়ে প্রথমে ব্যাট করা স্কটল্যান্ড। জবাবে আফনিস্তানও ছোটে দুর্বার গতিতে, ৪৪.৫ ওভারে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়েই আফগানরা করে ফেলে ২৬৯ রান। তার পরও শেষ ৫.১ ওভারে আফগানদের দরকার ছিল আর ৫৭ রান। মানে শেষের রোমাঞ্চকর লড়াইয়ের দিকেই হাঁটছিল ম্যাচ। কিন্তু শেষের সেই রোমাঞ্চটা কেড়ে নিয়েছে বৃষ্টি। প্রবল বৃষ্টি ম্যাচটির যবনিকা টেনে দিয়েছে ওখানেই। তাতে লাভটা হয়েছে আফগানিস্তানেরই। শেষের স্নায়ুক্ষয় না করেই তারা ডি/এল পদ্ধতিতে জিতে গেছে ২ রানে।

৫.১ ওভারে ৫৭, সমীকরণটা আফগানদের জন্য ছিল ভীষণ কঠিন। ফলে এডিনবার্গের গ্রাঙ্গে ক্রিকেট ক্লাব মাঠে বৃষ্টি তাদের জন্য আশীর্বাদ হয়েই আসে। বৃষ্টির আশীর্বাদপুষ্ট আফগানদের এই জয়ের নায়ক রহমত শাহ। ২৬ ছুঁইছুঁই রহমতের সেঞ্চুরিতেই মূলত জয়ের দেখা পেয়েছে আফগানিস্তান।

হিসাব কষে জানানো হয় জয়ের জন্য ৪৪.৫ ওভারে আফগানদের দরকার ছিল ২৬৮ রান। আফগানরা করে ফেলে তার চেয়েও ১ রান বেশি। ডার্কওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে তাদের জয়টা তাই ২ রানের।

ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি করা রহমত শাহই আফগানদের জয়ের বড় নায়ক। ২ ছক্কা ও ১১ চারে ১১৫ বলে ১১৩ রানের ইনিংসটির সুবাদে ম্যাচ সেরার পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি। তবে বৃষ্টি আইনের এই জয়ে ওপেনার মোহাম্মদ শাহজাদ ও হাসমতউল্লাহ শাহিদির ভূমিকাও কম নয়। ওপেনিংয়ে নেমে শাহজাদ এক ছক্কা, ৭ চারে ৬৭ বলে করেন ৫৫ রান। হাসমতউল্লাহ ৬ চারে ৬ বলে করেন ৫৯।

এর আগে গ্রাঙ্গে ক্রিকেট ক্লাব মাঠে স্বাগতিক স্কটিশদের রান উৎসবে নেতৃত্ব দেন তিন নম্বরে ব্যাট করা কালাম ম্যাকলিড। এক ছক্কা ও ১০ চারে তিনি মাত্র ৮৯ বলেই ছুঁয়ে ফেলেন ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরি। আউট হন কাটায় কাটায় ১০০ করে। এ ছাড়া অধিনায়ক কাইল কোয়েতজার ৯৮ বলে ৭৯, ব্যারিংটন ২০ বলে ৩৩, ওপেনার ম্যাথু ক্রোস ৫৩ বলে ৩২, জর্জ মানসে ১৩ বলে ২৮ ও ওয়াল্যাক ১৪ বলে ২০ রান করেন।

কিন্তু বিশাল সংগ্রহের পরও তাদের জিততে দেয়নি রহমত শাহ ও বৃষ্টি।