রাজধানীতে ভয়াবহ হয়ে উঠছে ডেঙ্গু, দু’দিনে ভর্তি ৯১ জন

বর্ষার শুরুতেই প্রকোপ হয়ে উঠেছে ডেঙ্গু। আষাঢ়ের প্রথমে বৃষ্টির পরেই রাজধানীতে মিলছে ডেঙ্গুর বাহক এডিসের লার্ভার উপস্থিতি। হাসপাতালগুলোতে প্রতিদিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে রোগীর সংখ্যা।

এদিকে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্র-শনিবারের মধ্যেই এ রোগে আক্রান্ত হয়ে ৯১ জন মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

এ বছর জুনের শুরু থেকে রাজধানীতে প্রতিদিন গড়ে সাতজন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলেও বর্তমানে সেই সংখ্যা প্রায় ১৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এরমধ্যে দুই রোগীর রক্ত পরীক্ষা করে সেরোটাইপ-৩-এর অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। এবার ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে সেরোটাইপ-৩-এর প্রভাব বেশি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ন্যাশনাল হেলথ ক্রাইসিস সেন্টারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, দেশে ডেঙ্গু জ্বরের মৌসুম সাধারণত শুরু হয় জুন থেকে। চলে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। মূলত বর্ষাকালের শুরুতে এই মৌসুমের শুরু। কেননা ডেঙ্গু জ্বরের জন্য দায়ী এডিস মশা সাধারণত শহরাঞ্চলের পরিবেশে জমাট পরিষ্কার পানিতে জন্মায়। আর বর্ষাকালে থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ায় পানি জমে থাকে বিভিন্ন জায়গায়।

বৃষ্টিতে জমা টবের পানি, ছাদে জমা পানি, ডাবের খোসা বা এরকম অন্যান্য জিনিসের ওপর জমা পানি সর্বোপরি গৃহস্থালির আশপাশে মোটামুটি পরিষ্কার স্থানে জমে থাকা পানিতে জন্মায় বা ডোবা-নালা বা ড্রেনে জমে থাকা নোংরা পানিতে এডিস মশা জন্মায় না। এ কারণে এই সময়কালকেই ডেঙ্গুর মৌসুম বলা হয়। সেজন্য এসব পানি জমতে না দেওয়া বা সাবধানতা অবলম্বন করে বেঁচে থাকাটা এই মৌসুমে জরুরি।

ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ: শ্বাস-প্রশ্বাসে অসুবিধা হওয়া কিংবা শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি বেড়ে যাওয়া। ত্বক শীতল হয়ে যাওয়া। অবিরাম অস্বস্তি, ত্বকের ভেতরের অংশে রক্তক্ষরণের কারণে ত্বকের উপরের অংশে লাল ছোপ সৃষ্টি হওয়া। বমি, মল কিংবা প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত যাওয়া, প্রচণ্ড পেটব্যথা ও অনবরত বমি হওয়া, নাক ও দাঁতের মাড়ি থেকে রক্তক্ষরণ ও অবসাদ। এ উপসর্গগুলো চোখে পড়লে আক্রান্ত রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।