রাজশাহীতে ইভিএমে ধানের শীষের তিনগুণ ভোট নৌকায়

রাজশাহীতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন-ইভিএমে ভোট নেয়া দুই কেন্দ্রে বিএনপির মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের তুলনায় প্রায় তিন গুণ ভোট পেয়েছেন আওয়ামী লীগের এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।

দুই কেন্দ্রে লিটনের নৌকা প্রতীকে পড়েছে এক হাজার ৪২৪ ভোট। আর বুলবুলের ধানের শীষে পড়েছে ৪৮৯ ভোট। অর্থাৎ বুলবুলের চেয়ে ৯৩৫ ভোটে এগিয়ে আছেন লিটন।

নগরীর ২২ নম্বর ওয়ার্ডের বিবি হিন্দু অ্যাকাডেমিতে দুটি কেন্দ্র স্থাপন করে ইভিএমে ভোট গ্রহণ করা হয়। একটি কেন্দ্র নারীদের, অন্যটি পুরুষের। এর মধ্যে পুরুষ কেন্দ্রের তুলনায় নারী কেন্দ্রে নৌকা ও ধানের শীষের ভোটের ব্যবধান বেশি।

ইভিএমের নারী ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা আসলাম উদ্দিন জানান, তার কেন্দ্রে ‘নৌকা’ প্রতীকে লিটন পেয়েছেন ৭৩৩ ভোট। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ‘ধানের শীষ’ প্রতীকে পেয়েছেন ২২২ ভোট।

এর বাইরে ইসলামী আন্দোলনের শফিকুল ইসলাম ‘হাতপাখা’ প্রতীকে পেয়েছেন ১১ ভোট। গণসংহতি আন্দোলন সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী মুরাদ মোর্শেদ ‘হাতি’ প্রতীকে পেয়েছেন ৬ এবং বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির প্রার্থী হাবিবুর রহমান ‘কাঁঠাল’ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন মাত্র ৩ ভোট।

অন্যদিকে পুরুষ ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার অমিত কুমার প্রামানিক জানান, এই কেন্দ্রে লিটন পেয়েছেন ৬৯১ ভোট। তার বুলবুল পেয়েছেন ২৬৭ ভোট।

এই কেন্দ্রে শফিকুল ১৬, মুরাদ ১১ এবং হাবিবুর পেয়েছেন ছয়টি ভোট।

রাজশাহীতে এবার ১৩৬ কেন্দ্রে সনাতন পদ্ধতিতে ব্যালটে এবং দুটি কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট হয়েছে। ব্যালটে ভোটের তুলনায় ইভিএমে ভোটের স্বচ্ছতা বেশি। এখানে একজনের ভোট অন্যজনের দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। কারণ স্মার্টকার্ড পাঞ্চ করে এরপর আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে পরিচয় নিশ্চিত হলেই তিনি ভোট দিতে পারেন।

আবার ইভিএমে ভোট গণনাও সহজ। ভোট শেষে বাটন টিপ দিলেই ফলাফল জানা যায়। ফলে অন্যান্য কেন্দ্রে যখন গণনা কেবল শুরু হচ্ছে, ততক্ষণে ইভিএমে ফলাফল পাওয়া যায়।