রাজু ভাস্কর্যেই কাটছে ছাত্রলীগের পদবঞ্চিতদের ঈদ

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে বিতর্কিতদের বাদ দেয়ার দাবিতে পদবঞ্চিতরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে। ঈদের দিনেও তারা তাদের কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন।

বুধবার ঈদের দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশেই কাটছে তাদের।

ছাত্রলীগের গত কমিটির মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপ-সম্পাদক আল মামুন সাংবাদিকদের বলেন, আমরা ১১তম দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছি। কেন্দ্রীয় মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করেছি। ভিসি স্যার (অধ্যাপক আখতারুজ্জামান) আমাদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। সবকিছুর পরেও আমরা কলঙ্কমুক্ত ছাত্রলীগ চাই।

আন্দোলনকারীদের মুখপাত্র গত কমিটির কর্মসূচি ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক রাকিব হোসেন বলেন, আমরা জোর দাবি জানিয়েছিলাম ঈদের আগেই যেন বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে কমিটি পুনর্গঠন করা হয়। আমাদেরও ইচ্ছা ছিল পরিবারের সঙ্গে ঈদ করার। কিন্তু বিতর্কিতদের ঈদ করার সুযোগ দিয়ে আমাদের পরিবারের বাইরে করালো। আমরা আমাদের কর্মসূচি চালিয়ে যাবো।

গত ১৩ মে সম্মেলনের এক বছর গঠিত হয় ছাত্রলীগের ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি। নবগঠিত এ কমিটি থেকে সর্বশেষ কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদ ও অবস্থানে থাকা অর্ধশত নেতা বাদ পড়েন ও প্রত্যাশিত পদবঞ্চিত হন। ফলে সেদিনই এ কমিটি প্রত্যাখ্যান করে এবং বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে যোগ্যদের পদ প্রদানের দাবিতে বিক্ষোভ করেন পদবঞ্চিতরা।

১৫ মে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশে সংগঠনটির নতুন কমিটির শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছিল। তখন অপরাধী ও বিতর্কিতদের কমিটি থেকে বাদ দিতেও নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। অথচ সেই নির্দেশনা পালন না করে রোববার মধ্যরাতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন কর্মসূচি ঘোষণা করে ছাত্রলীগ। ফলে সেদিন রাত ১টা থেকে ফের আন্দোলনে নামেন পদবঞ্চিতরা।

পরে রাজু ভাস্কর্যে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। সেখান থেকে ঘোষণা করা হয়- বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে যোগ্যদের পদায়ন না করা পর্যন্ত তারা অবস্থান চালিয়ে যাবেন। দাবি না মানলে তারা বাড়ি যাবেন না, ঢাকাতেই ঈদ করবেন।