রাণীনগর প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও হাসপাতালে সেবা ব্যহত প্রধান কর্মকর্তা ও সার্জনসহ ৬টি পদই ফাঁকা

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারী হাসপাতালে ১১টি পদের মধ্যে প্রধান কর্মকর্তা এবং ভেটেরিনারী সার্জনসহ ৬টি পদই ফাঁকা রয়েছে।ফলে দাপ্তরিক কাজকর্মসহ উপজেলার প্রায় চার লক্ষাধীক গবাদিপশুর চিকিৎসা সেবা চরমভাবে ব্যহত হচ্ছে। এছাড়া হঠাৎ করেই গবাদি পশুর খুরারোগ ও ল্যাম্পি স্কিন ডিজিসহ বিভিন্ন রোগ বেড়ে যাওয়ায় এবং হাসপাতালে লোকবল না থাকায় চরম সংকট সৃষ্টি হয়েছে।

রাণীনগর প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারী হাসপাতাল কার্যালয় সুত্রে জানাগেছে,উপজেলা জুড়ে চার লক্ষ ১৯হাজার ২২৩টি গবাদি পশু রয়েছে। এর মধ্যে একলক্ষ ৮০হাজার গরু,একহাজার ৬৩টি মহিষ,দুই লক্ষ ১৬০টি ছাগল এবং ৩৮হাজার ভেড়া রয়েছে। হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৭০থেকে ৮০টি পশুর চিকিৎসা দিতে হচ্ছে।এরই মধ্যে হঠাৎ করেই উপজেলা জুড়ে গবাদিপশুর খুরারোগ ও ল্যাম্পি স্কিন ডিজিজ ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু হাসপাতালে প্রধান কর্মকর্তা এবং ভেটেরিনারী সার্জন না থাকায় চিকিৎসা সেবা আরো চরমভাবে ব্যহত হচ্ছে। সুত্র জানায়,এই দপ্তরে প্রধান কর্মকর্তা,একজন ভেটেরিনারী সার্জন,দুইজন ভেটেরিনারী মাঠ সহকারী,একজন অফিস সহকারী এবং একজন ড্রেসারের পদ ফাঁকা রয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে দপ্তরের একজন কর্মকর্তা জানান,দপ্তরের এতোগুলো পদ ফাঁকা থাকার কারনে মাঠ সহকারীরা বাহিরে কাজ করতে পারছেননা। হাসপাতালেই গবাদিপশুর অতিরিক্ত চাপ সামাল দিতে হচ্ছে। এছাড়া ভেটেরিনারী সার্জন না থাকায় মাঠ কর্মী দিয়ে সার্জনের কাজকর্ম পারি দিতে হচ্ছে। তাছাড়া প্রায় দুই মাস ধরে প্রধান কর্মকর্তার পদ ফাঁকা থাকায় দাপ্তরিক কাজকর্মও ব্যহত হচ্ছে। তাই পশুর চিকিৎসা সেবার মান—উন্নয়নে দ্রুত ফাঁকা পদগুলো পুরণ করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

গোনা গ্রামের সিরাজ হোসেন বলেন,হাসপাতালে গরু নিয়ে গিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এছাড়া গবাদি পশুর অতিরিক্ত চাপ থাকার কারনে কোন রকমে গরু দেখে তাড়াহুরো করে চিকিৎসা দিয়ে ছেরে দিচ্ছেন। ফলে সঠিক রোগ নির্নয় হচ্ছে কিনা বা সঠিক চিকিৎসা দিতে পারছেন কিনা তা নিয়েও সন্দে রয়েছে। তাই সুষ্ঠু চিকিৎসাসেবা পেতে দ্রুত জনবল নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন তিনি।

ঘোষ গ্রামের আরিফ হোসেন বলেন,গরুর রোগব্যধী হলে আগে পশু হাসপাতালে ফোন করলেই বাড়ীতে বসেই চিকিৎসা সেবা পেয়েছি। কিন্তু এখন হাসপাতালে না গেলে আর চিকিৎসা পাওয়া যাচ্ছেনা। ফলে সময় এবং অর্থ ব্যয় করে ৮—১০কিলোমিটার রাস্তা পারি দিয়ে হাসপাতালে যেতে হচ্ছে।

নওগাঁ জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারী হাসপাতালের কর্মকর্তা মহির উদ্দীন বলেন,এসব বিষয় নিয়ে আমরা উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের লিখিতভাবে জানিয়েছি। আসা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যেই ফাঁকা পদগুলো পুরণ হবে।