রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে ঢুকতে বাধা দিচ্ছে না পুলিশ

বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্তে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা মুসলিমদের ঢুকতে না দেবার সরকারি আদেশ থাকলেও তা উপেক্ষা করছে পুলিশ।

কক্সবাজার থেকে বিবিসির সংবাদদাতা জানাচ্ছেন, মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে সহিংসতা থেকে প্রাণ বাঁচাতে প্রতিদিনই আরো বেশি করে রোহিঙ্গা মুসলিম সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ঢুকছে। তবে বাংলাদেশের পুলিশ তাদের থামানোর কোন চেষ্টা করছে না।

এ ব্যাপারে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন এবং সীমান্তরক্ষী বিজিবি’র কর্মকর্তারা বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, রোহিঙ্গারা যেন অবৈধভাবে বাংলাদেশে ঢুকতে না পারে সেজন্য তারা তৎপর রয়েছেন।

তবে অনানুষ্ঠানিক সূত্রগুলো বলছে, মহিলা ও শিশু শরণার্থীদের ক্ষেত্রে কোথাও কোথাও ‘শিথিলতা দেখানো হচ্ছে।’

জাতিসংঘের অনুমান অনুযায়ী এ পর্যন্ত ৫৮ হাজার শরণার্থী বাংলাদেশে ঢুকেছে।

অন্য আরো প্রায় ২০ হাজার লোক সীমান্ত এলাকায় নাফ নদীর তীর বরাবর আটকে আছে, এবং তারা পানিতে ডুবে যাওয়ার বা রোগ ও বিষাক্ত সাপের ঝুঁকিতে রয়েছে।

শরণার্থীরা অভিযোগ করছে, মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী এবং বৌদ্ধ জনতা তাদের গ্রামগুলোয় আগুন লাগিয়ে দিচ্ছে।

তবে মিয়ানমারের সরকার বলছে, তাদের নিরাপত্তা বাহিনী গত মাসে ঘটা একটি আক্রমণের মোকাবিলা করছে – যাতে রোহিঙ্গা জঙ্গীদের হাতে ২০টি পুলিশ ফাঁড়ি আক্রান্ত হয়েছিল।

রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর গণহত্যা চালানো হচ্ছে : বললেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তায়েপ এরদোয়ান অভিযোগ করেছেন, মিয়ানমার সেদেশের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর গণহত্যা চালাচ্ছে।

ইস্তাম্বুলে ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেয়া এক বক্তৃতায় প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেন, “সেখানে গণহত্যা চলছে। যারা গণতন্ত্রের আবরণে এই গণহত্যার প্রতি চোখ বন্ধ করে আছে – তারা এর সহযোগী।”

মি এরদোয়ান বলেন তিনি এ মাসের শেষে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে এ বিষয়টি তুলবেন। তিনি আরো বলেন, এ নিয়ে তিনি ইতিমধ্যেই জাতিসংঘের মহাসচিব ও অন্যান্য মুসলিম নেতাদের সাথে কথা বলেছেন।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সাথেও কথা বলেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্টএরদোয়ান, এবং তিনি মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিমদের পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং এ ব্যাপারে বাংলাদেশের নেয়া পদক্ষেপগুলোর প্রশংসা করেন।

মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর অফিস বলছে, রাখাইন রাজ্যের সহিংসতায় এ পর্যন্ত ৪০০ লোক নিহত হয়েছে – যার অধিকাংশই রোহিঙ্গা মুসলিম।

সূত্র : বিবিসি বাংলা