রোহিঙ্গা গণহত্যা জাতিসংঘে তুলছেন এরদোগান

মিয়ানমারের রাখাইনে সংখ্যালঘু মুসলিম রোহিঙ্গাদের ওপর দেশটির সেনাবাহিনীর চালানো গণহত্যার ইস্যু জাতিসংঘে তোলার ঘোষণা দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। তিনি বলেছেন, ‘চলতি মাসের শেষ দিকে (১৯ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে শুরু হবে অধিবেশন) জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে তুরস্ক রোহিঙ্গা ইস্যু তুলে ধরবে।’ খবর: রয়টার্সের।

ইতোমধ্যে এরদোগান এ বিষয়ে অন্তত ২০টি দেশের সরকারপ্রধানের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপ করেছেন বলেও জানান।

সোমবার ইস্তাম্বুলে তুরস্কে নিহত সেনাদের এক মাগফেরাত অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা জানান।

এরদোগান মিয়ানমারে গণহত্যার শিকার মুসলিম রোহিঙ্গাদের সাহায্যে বিশ্বনেতাদের প্রতি কিছু একটা করারও আহ্বান জানান।

গত ২৫ আগস্ট থেকে রাখাইনে সেনাবাহিনীর অভিযানে ৪ শতাধিক রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। নির্যাতনের মুখে জাতিসংঘের হিসাবে বিগত ১০ দিনে ৯০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশু পালিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে।

রাখাইনের ভয়াবহতা তুলে ধরে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘মিয়ানমারে মুসলিমরা কেমন আছে, তা সবাই দেখছে। আপনারা দেখছেন কিভাবে গ্রামের পর গ্রাম মুসলিমদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সেখানে গণহত্যা চালানো হলেও বিশ্ব মানবতা নিশ্চুপ।’

তিনি বলেন, ‘আমি অন্তত ২০টি দেশের নেতাদের সঙ্গে রোহিঙ্গা ইস্যুতে কথা বলেছি। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন সাড়া দিয়েছেন। অনেকে দেননি। জগতে প্রত্যেকের অনুভূতি এক হয় না। কিন্তু আমরা আমাদের কর্তব্য পালন করব।’

এ সময় এরদোগান রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য তুরস্কের সহায়তা অব্যাহত রাখার কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন।

এর আগে গত শুক্রবার তিনি রাখাইনে মুসলিমদের ওপর গণহত্যা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন।

এরদোগান বাংলাদেশের প্রশংসা করে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের খরচ বহনের কথা জানান।