লঘুচাপের প্রভাবে উত্তাল সমুদ্র থেকে তীরে ফিরছেন জেলেরা

দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর জেলেদের জালে কাংঙ্খিত ইলিশের দেখা মিললেও সমুদ্রে উত্তাল ঢেউয়ের তোরে টিকতে না পেরে ঘাটে ফিরতে হয়েছে মৎস্য শিকারিদের। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে গতকাল রাত থেকে মৎস্য বন্দর মহিপুর,আলীপুর ঘাটে এসে নোঙ্গর করছে শত শত মাছ ধরা ট্রলার ও নৌকা সমুহ।

এছাড়া শিববাড়িয়া নদীসহ বিভিন্ন পোতাশ্রায়ে নিরাপদ নোঙ্গর করছেন জেলেরা। এদিকে লঘুচাপ এবং আমাবস্যার প্রভাবে বিভিন্ন নদ-নদীতে পানির উচ্চতা স্বাভাবিকের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে পায়রা সমুদ্র বন্দর সমুহকে ৩ নাম্বার স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

এছাড়া বঙ্গোপসাগরের অবস্থানরত মাছ ধরা নৌকা ও ট্রলার সমুহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলেরর কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলেছে আবহাওয়া আফিস।

সরেজমিনে জেলেরা জানান, ইলিশের আকাল কাটিয়ে সবেমাত্র সাগরে মাছের দেখা মিলেছে। এরই মাঝে বৈরি আবহায় সমুদ্র উত্তাল হয়ে উঠেছে। ঢেউয়ের তান্ডবে জাল ফেলতে না পেরে বাধ্য হয়েই সাবার নিয়ে ঘাটে ফিরতে হয়েছে। ফলে নতুন করে দুশ্চিন্তায় পরেছেন মৎস্য শিকারে নির্ভরশীল সমুদ্রগামীরা।

সমুদ্র থেকে তীরে ফিরে আসা ট্রলার মাঝি মো.আসাদ মিয়া জানান, গত তিন চারদিন যাবৎ সাগরে ইলিশের দেখা মিলেছে। তবে হঠাৎ করে সাগরে অস্বাভাবিক ঢেউয়ের তান্ডব দেখা দিয়েছে। সমুদ্র বক্ষে টিকতে না না পেরে মাছ শিকার বন্ধ করে ট্রলার জেলেদের নিয়ে নিরাপদে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। ট্রলার মালিক মনির হাওলাদার জানান, দুদিন আগে তার ট্রলার সাবিউ বাজার নিয়ে সমুদ্রে গেলেও বৈরি আবহাওয়ার ফলে রোববার রাতেই ঘাটে ফিরে এসেছে।

আলীপুর মৎস্য আড়ৎ সমবায় সমিতির সভাপতি মো.আনছার উদ্দিন মোল্লা জানান, লঘু চাপের প্রভঅবে বর্তমানে সাগর খুবই উত্তাল হয়ে উঠেছে। সাগরে টিকতে না পেরে শত শত মাছ ধরা ট্রলার মহিপুর ও আলীপুর আড়ৎ ঘাটে নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরে এসেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে তারা আবরও সমুদ্রে ফিরবে।