‘লাশের স্তুপ ডিঙিয়ে প্রধানমন্ত্রী আনন্দ ভ্রমণে সুইডেন গেছেন’

দেশে কোনো দুর্যোগ হলে অন্য দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানরা বিদেশ সফর বাতিল করে নিজ দেশে উপদ্রুত মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়ান। অথচ প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতবিক্ষত দুর্গত মানুষ এবং অসংখ্য লাশের স্তুপকে ডিঙ্গিয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রী এখন আনন্দ ভ্রমণে সুইডেন সফরে বেরিয়েছেন। ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ আঘাত হানার সময়ও তিনি অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় ছিলেন।

বুধবার দুপুরে বিএনপির নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।

‘অবশ্য বিপদের সময় নিজ দেশের জনগণকে ফেলে চলে যাওয়া আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য ও ইতিহাস। ৭১ সালেও তারা সেই ঐতিহ্যই রক্ষা করেছেন। ১/১১ এর সময়ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী সেই ঐতিহ্য সমানে রক্ষা করেছেন,’ মন্তব্য করেন রিজভী।

তিনি বলেন, ‘এতো বড় প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে লাশের সংখ্যা যখন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে তখন সরকারপ্রধান ভ্রুক্ষেপহীন, নিরুদ্বেগে বিদেশ সফরে বেরিয়েছেন। সরকারের জনভিত্তি ধ্বসে গেছে বলেই জনগণের বিপদের সময় নির্লজ্জ আচরণ করছেন ক্ষমতাসীনরা।’

‘এখন বিদেশীদের মন রক্ষার জন্যই প্রধানমন্ত্রী বিদেশে ছোটাছুটি করছেন। বিদেশের যেসমস্ত কনফারেন্সে সচিব পর্যায়ের বা প্রতিমন্ত্রী পর্যায়ের লোক যাওয়ার কথা সেখানে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত হচ্ছেন,’ বলেন রিজভী।

বিএনপির এই নেতা আরো বলেন, ‘জনগণের প্রতি বর্তমান সরকারের বৈরী মনোভাব সর্বজনবিদিত। অন্তহীন ক্ষমতালিপ্সার কারনেই জনগণের বদলে বন্দুকের উপরই ভরসা এই সরকারের। আসলে গণতন্ত্র, সংসদীয় গণতন্ত্র, ভোটাধিকার, স্বচ্ছ নির্বাচন ও আইনের শাসনের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আজন্ম বিতৃষ্ণা।’

‘তাই দেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগে ইমার্জেন্সির সময়ও সরকারপ্রধানের বিদেশ সফর চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের উপদ্রুত মানুষ, বিধ্বস্ত জনপদ ও অসংখ্য লাশকে উপহাস করারই সামিল। প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের তেমন কোনো কূটনৈতিক তাৎপর্যও নেই,’ যোগ করেন রিজভী।

পাহাড়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগে হতাহতের ঘটনায় গভীর দু:খ প্রকাশ করে দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহবানও জানান তিনি।