‘শাকিব-অপু-বুবলী’সহ বাহারি নামের বিড়ালের অংশগ্রহণে জমজমাট শো

বরিশালে অনুষ্ঠিত হয়েছে ব্যতিক্রমী বিড়াল প্রদর্শনী। শাকিব, অপু, বুবলীসহ নানা বাহারি নামের অর্ধশত বিড়াল নিয়ে শোতে হাজির হন বিড়ালপ্রেমীরা। প্রাণির প্রতি ভালোবাসা আর মমত্ব থেকে এই ধরনের আয়োজন করেছে বরিশালের একটি ফেসবুক গ্রুপ। যেখানে বিড়াল নিয়ে র‌্যাম্প শো করেছেন বিড়ালমালিকরা। আরও ছিলো বিড়ালের খাওয়া, যেমন খুশি তেমন সাজো এবং সুইট ক্যাট প্রতিযোগিতা। সব ক্যাটাগরিতে ছিলো আলাদা পুরস্কারের ব্যবস্থাও।

গত শুক্রবার বিকেলে বরিশাল নগরীর বান্দ রোডের ইউরোটোল কনভেনশন সেন্টারে ছিলো উৎসবমুখর পরিবেশ। নানা সাজে সেখানে এসেছিলেন শতাধিক মানুষ। যারা সবাই বিড়ালপ্রেমী। সাথে করে নিয়ে এসেছেন শাকিব খান, অপু বিশ্বাস, বুবলী, পমপম, কোকো, কিটক্যাটসহ নানা নাম ও জাতের অর্ধশত বিড়াল। শোতে অংশগ্রহনকারী তুনা জানান, গৃহপালিত পশু পালনকারীদের জন্য এটা ব্যতিক্রমী আয়োজন। বরিশালে এই ধরনের আয়োজন প্রথম। বিড়ালের প্রতি মমত্ব বাড়ানোর তাগিদ দেন তিনি।

নাজনীন বলেন, অংশগ্রহণকারী সবাই সেজেগুজে এসেছেন এবং বিড়ারগুলোকেও সাজিয়ে এনেছেন। এতে অন্যরকম পরিবেশের সৃষ্টি হয় শো’তে। সব চেয়ে আকর্ষণ ছিলো র‌্যাম্প শো। বিড়াল নিয়ে ক্যাটওয়ার্ক করে দর্শকদের মুগ্ধ করেছেন তারা।

সুমি আক্তার বলেন, বিড়াল মানসিক চাপ দূর করে। একাকী কিংবা মন খারাপ থাকলে বিড়ালের সঙ্গ পেলে মন ভালো হয়ে যায়। বিড়ালকে তারা আদর করেন, বিড়ালও তাদের আদর করে। এভাবে বিড়ালের প্রতি ভালোবাসা এবং বন্ধুত্ব হয়ে গেছে তাদের।

নিশাত নামে একজন বলেন, পারিবারিক ধারাবাহিকতায় বিড়ালসহ অন্য পশু পালন করেন তিনি। ক্যাট শো’ তে অংশগ্রহণ করতে পেরে বেশ আনন্দ পেয়েছেন। বিড়াল পালন করে অবসর সময় কাটানের সুযোগ আছে। সন্তানের মতোই আদরযত্ন করে বিড়াল পালন করেন তারা।

প্রভাষক মারিয়া জামান বলেন, তার ১১টি বিড়াল রয়েছে। সেগুলোকে চিকেন-ফিশ আর শুকনা খাবার খাওয়ানো হয়। পশুর প্রতি ভালোবাসা থেকেই বিড়াল পালন করেন তিনি।

অনন্যা জামান নামে একজন বলেন, এ ধরনের আয়োজনে তারা তাদের পোষা প্রাণির প্রদর্শন করতে পারেন। এ উপলক্ষে বিড়ালপ্রেমীদের একটা মিলনমেলাও হয়ে যায়। এমন আয়োজনে আরও অংশ নিতে আগ্রহী তিনি।

ক্যাট/পার্সিয়ান ক্যাট সোসাইটি অব বরিশাল নামে একটি ফেসবুক গ্রুপ আয়োজন করেছে এই ক্যাট শো’র। গ্রুপের এডমিন আবির বিন মিজান জানান, একটি গ্রুপের মাধ্যমে বিড়াল পালনকারীদের সম্মিলন ঘটিয়েছেন তারা। বর্তমানে গ্রুপের সদস্য সংখ্যা আড়াই হাজারের বেশি। ক্যাট শোতে ৫০ জন রেজিস্ট্রেশন করেছে। অংশগ্রহণ করেছে ৪০ জন। তারা নিয়ে এসেছেন নানা নাম ও জাতের অর্ধশত বিড়াল। প্রানীর প্রতি মমত্ব বাড়লে এই আয়োজন সার্থক হবে বলে মনে করেন তিনি।

ক্যাট শো’তে অংশগ্রহণ করে আয়োজনের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন জেলা প্রানি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. নুরুল আলম। আগামীতে বিড়ালের চিকিৎসাসহ সার্বিক খোঁজ খবর রাখার কথা বলেন তিনি। চিত্তবিনোদনের জন্য এই ধরনের আয়োজন আরও হওয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন।

ক্যাট শো উপলক্ষ্যে কনভেনশন হলটি সাজানো হয়েছিলো মনোরম সাজে। একটি খরগোশও প্রদর্শন করা হয়েছে শো’তে।