সংকট মেটাতে শীঘ্রই আনা হচ্ছে আরও দেড় লাখ টন চাল

চাল আমদানি করতে সরকার প্যাকেজের পর প্যাকেজ ঘোষণা করছে। অর্থাৎ একের পর এক দরপত্র আহ্বান করছে। আর যাচাই-বাছাই শেষে আমদানির অনুমোদন দিচ্ছে। এখন পর্যন্ত ঘোষিত তিনটি প্যাকেজের মধ্যে প্রথমটি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে পাঠানো হয়েছে। দ্বিতীয়টি আগামী সপ্তাহে পাঠানো হবে। আর ১৯ আগস্ট তৃতীয় দরপত্রটি গ্রহণ করা হবে। এই তিনটি দরপত্রের মাধ্যমে আমদানি করা হবে মোট দেড় লাখ টন চাল। খাদ্য অধিদপ্তর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে খাদ্য অধিদপ্তরের একজন উর্দ্ধতন কর্মকর্তা জানান, মঙ্গলবার চাল আমদানি করা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে চূড়ান্তভাবে চারটি দরপত্র পেয়েছে খাদ্য অধিদপ্তর। এগুলো আগামী সপ্তাহে মন্ত্রীপরিষদের বৈঠকে উত্থাপন করা হবে। মন্ত্রীসভার ক্রয় কমিটির অনুমোদনের পর সংশ্লিষ্ট দরদাতাকে ওয়ার্ক ওর্ডার (চাল আমদানির অনুমতি পত্র) দেয়া হবে। এর পর ৪৫ দিনের মধ্যেই চাল বাংলাদেশে এসে পৌঁছাবে।

চালের সংকট মেটাতে সরকারি উদ্যোগে সরবরাহকারীদের কাছ থেকে গত ২৩ জুলাই এই দরপত্র আহ্বান করা হয়।

এর আগে গত জুনে দ্রুত সংকট মোকাবিলা করতে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি দরপত্র ছাড়াই ভিয়েতনাম থেকে চাল আমদানির অনুমতি দেয়। তখন প্রতি টন ৪৭০ মার্কিন ডলার মূল্যে ৫০ হাজার টন সিদ্ধ চাল এবং ৪৩০ মার্কিন ডলার মূল্যে দুই লাখ টন আতপ চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

তবে ভিয়েতনাম থেকে ৩টি চালানে মোট ৬৮ হাজার ৩শ’ টন চাল বাংলাদেশে এসেছে। যেগুলো এখনও বন্দরে খালাসের পর্যায়ে রয়েছে।

চলতি বছর হাওরাঞ্চলে অকাল বন্যায় ফসল উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় সরকার চাল আমদানিতে শুল্ক ২৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ নির্ধারণ করে। এরপর আমদানিতে আরো উৎসাহ দিতে বাকিতে চাল আমদানির সুযোগ দেয় ব্যবসায়ীদের। এরপর থেকে বিপুল পরিমাণ এলসি খোলে আমদানিকারকরা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত জুন-জুলাই মাসে দুই হাজার কোটি টাকার বেশি চাল আমদানির এলসি খোলা হয়। এর মধ্যে অনেক এলসি নিষ্পত্তি হয়েছে।