সমাবেশে ৫ লাখ উপস্থিতির টার্গেট, চমক থাকবে এরশাদের

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত জাতীয় জোটের মহাসমাবেশ শনিবার।

জাতীয় নির্বাচনের আগের সর্বশেষ মহাসমাবেশ ঘিরে ব্যাপক শোডাউনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ক্ষমতাসীন জোটের শরিক জাতীয় পার্টি ও তার জোটভুক্ত দলগুলো।

দলটির নেতারা বলছেন, নির্বাচন ঘিরে এই সমাবেশে কম করে হলেও ৫ লাখ মানুষের সমাগম হবে। সেখানে জোটের চেয়ারম্যান এরশাদ রাজনৈতিক সমীকরণ বদলের নতুন চমক উপস্থাপন করবেন।

শনিবার সকাল ১০টায় সমাবেশের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। ইতোমধ্যে সমাবেশ সফলে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন সিনিয়র নেতারা। বিভিন্ন জেলায় সফরও করেছেন জাতীয় পার্টি ও সম্মিলিত জাতীয় জোটের নেতারা।

রাজধানী পোস্টার-ফেস্টুনে সয়লাব হয়ে গেছে। দলীয় পোস্টারের পাশাপাশি শীর্ষ নেতাদের ছবিসহ ‘চল চল, ঢাকা চল’— ব্যক্তিগত পোস্টারও শোভা পাচ্ছে অলিগলিতে।

পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ও মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারসহ সিনিয়র নেতারা সার্বক্ষণিক মনিটর করছেন মহাসমাবেশের সার্বিক প্রস্তুতি। শুক্রবার সন্ধ্যায় সমাবেশস্থল পরিদর্শন করেন মহাসচিব।

সমাবেশের প্রস্ততি সম্পর্কে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, ‘সমাবেশে আমাদের টার্গেট ৫ লাখ মানুষের সমাগম। সেভাবেই প্রস্ততি নেয়া হয়েছে। আশা করছি, আমরা সফল হব।’

তিনি বলেন, ‘সারাদেশ থেকে দলের নেতাকর্মীরা ঢাকায় এসেছেন, এখনো আসছেন। এদের অনেকেই শুক্রবার রাতে সমাবেশ মঞ্চ দেখতে উপস্থিত হন।’

এক প্রশ্নের জবাবে বাবলা বলেন, ‘শনিবার মহাসমাবেশ থেকে চেয়ারম্যান নির্বাচন ঘিরে নেতাকর্মীদের দিক-নির্দেশনা দিবেন। আশা করছি, তার এই বক্তব্যের মাধ্যমে রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ শুরু হবে। থাকবে এক গুচ্ছ নতুন চমক।’

জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তর জাতীয় পার্টির সভাপতি এসএম ফয়সল চিশতী পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, ‘স্মরণকালের বৃহৎ মহাসমাবেশে হবে। ইতোমধ্যে সব প্রস্ততি সম্পন্ন। কয়েক লাখ নেতাকর্মী ঢাকায় অবস্থান নিয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের আগে এটাই আমাদের সর্বশেষ মহাসমাবেশ। সেজন্য সব ধরনের প্রস্তুতিই নেয়া হয়েছে। এখান থেকে সম্মিলিত জাতীয় জোট সম্প্রসারণের ঘোষণাও আসতে পারে।’

দল সূত্রের দাবি, পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদ এই মহাসমাবেশ দেখেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা করবেন। আর এ কারণেই নেতারা এটিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছেন। সর্বাত্মক উপস্থিতি এনে নিজের অস্তিত্ব জানান দিবেন মনোনয়ন প্রত্যাশীরা।