সাতক্ষীরায় মুক্তিযুদ্ধের গল্প নিয়ে গণহত্যার সাক্ষী তৈলক্ষ পাল

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সাতক্ষীরার কলারোয়া বেত্রবতী আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ দিনের অনুষ্ঠানমালার এ পর্বে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে কলারোয়ার পালপাড়ার গণহত্যায় অলৌকিকভাবে বেঁচে ফেরা পায়ে গুলিবিদ্ধ মৃত্যুঞ্জয়ী তৈলক্ষ পাল তরুণ প্রজন্মকে নিজমুখে শোনালেন সেই ভয়াল দিনের কথা।

২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে বৃহস্পতিবার সকালে বিদ্যালয়ের হলরুমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে তৈলক্ষ পাল ১৯৭১ সালের ২৮ এপ্রিলে বর্বর পাকিস্তানি ও তাদের দোসরদের পালপাড়ার হিংস্রতার বর্ণনা দেন।

১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা কলারোয়ার পাল পাড়ায় যে নৃশংস ও বর্বরোচিত গণহত্যা চালিয়েছিলো সেই হত্যাকান্ডে ৯জন প্রাণ হারান। ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান ৩ জন। যাদের মধ্যে আজও বেঁচে আছেন তৈলক্ষ পাল।

যে ঘটনা সবসময় মুক্তিকামী আপামর বাঙালিকে কাঁদায়। সেদিন নরপিশাচদের হাত থেকে অলৌকিকভাবে বেঁচে ফেরার কাহিনী কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নিজমুখে শোনান তিনি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন কলারোয়া বেত্রবতী আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবু বকর ছিদ্দীক, মোঃ মশিউর রহমান, মোঃ আনারুল ইসলাম, মোঃ তজিবুর রহমান, মোঃ সাইফুল আলম, অফিস সহকারী মোঃ আমিরুল ইসলাম, ফারুক হোসেন প্রমুখ।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে কলারোয়া বেত্রবতী আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে অজস্র ধন্যবাদ ও বিনম্র শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে জাতির সেই সকল শ্রেষ্ঠ সন্তানসহ তৈলক্ষ পালকে।