সাতক্ষীরার কলারোয়ায় অগ্নিকাণ্ডে কয়েকটি দোকান পুড়ে ছাই

কলারোয়া উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে লাকি স্টোর সহ দু’টি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকার।

শুক্রবার (৯ এপ্রিল) আনুমানিক রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার সীমান্তবর্তী কেঁড়াগাছি ইউনিয়নের বালিয়াডাঙ্গা বাজারের তিন রাস্তার মোড়ের লাকি স্টোর, নিপা সুইটস ও দেলোয়ার ফ্লাক্সিলোড এবং পাশ্ববর্তী সুহা মিষ্টান্ন ভাণ্ডারে (আংশিক) অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

এতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটির সিংহভাগ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

দোকানের পিছনের অংশে থাকা মিষ্টির কারখানা থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণ করা হচ্ছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, অন্য দিনের মতো শুক্রবার রাতে লকডাউনের কারণে তাড়াতাড়ি দোকান বন্ধ করে বাড়িতে চলে যান লাকি স্টোরের সত্ত্বাধিকারী পাশ্ববর্তী মৃত আব্বাস আলীর পুত্র ইসাহাক আলী ও রজব আলী। কিছুক্ষণ পরেই এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা শুরু হয়। মুহুর্তেই পুড়ে ছাই হয়ে যায় দোকানের আসবাবপত্র ও মালামালসহ সিংহভাগই। পরে স্থানীয়দের মারফতে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছায়। কিন্তু ততক্ষণে পুড়ে ছাই হয়ে যায় বালিয়াডাঙ্গা বাজারের অন্যতম এই প্রতিষ্ঠানটি।

ফায়ার সার্ভিসের প্রায় আধা ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন শতভাগ নিয়ন্ত্রণে আসে।

ইসাহাক আলীর এই প্রতিষ্ঠানটিতে লাকি স্টোর (ফল ও কনফেকশনারি), নিপা সুইটস (মিষ্টির দোকান) ও দেলোয়ার ফ্লাক্সিলোড এবং সুহা মিষ্টান্ন ভাণ্ডার পরিচালিত হচ্ছিল।

স্থানীয় ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি ভূট্টোলাল গাইন জানান, ‘স্থানীয়দের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে আমি কলারোয়া ফায়ার সার্ভিসে সংবাদ দিয়েছিলাম। পাশাপাশি বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎকে বিষয়টি অবহিত করেছিলাম। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এই অগ্নিকাণ্ডে প্রতিষ্ঠানটির প্রায় শতভাগ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।’

কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুবায়ের হোসেন চৌধুরী জানান, ‘দোকানটি পুড়ে গেছে। আমি ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ক্ষতিগ্রস্তদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিবেচনা করার চেষ্টা করবো।’

এদিকে ইসাহাক আলীর জীবিকা নির্বাহের একমাত্র সম্বল ওই প্রতিষ্ঠানটিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় হতবিহবল হয়ে পড়েছন তিনি। এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সরকারি সহায়তা প্রত্যাশা করছেন ভূক্তভোগিরা।