সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে লকডাউন বাস্তবায়নে ইউএনও’র প্রচেষ্টা অব্যাহত

“যোগ দিন যুদ্ধে, করোনার বিরুদ্ধে” এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে কালিগঞ্জে একটি অদৃশ্য এবং অজানা শত্রুর বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করছি, যার নাম মহামারী করোনা ভাইরাস। বৈশ্বিক করোনা ঠেকাতে সাতক্ষীরা জেলার ন্যায় কালিগঞ্জে চলমান লকডাউন বাস্তবায়নে ইউএনও’র প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। নিজের জীবন ঝুঁকিতে রেখে সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়ন কিংবা দায়িত্ব পালনের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার রবিউল ইসলাম যেনো ত্যাগী মানুষের এক জলজ্যান্ত উদাহরণ।

৫ জুন থেকে কালিগঞ্জে লকডাউন বাস্তবায়নে ইউএনও রাত-দিন কাজ করছেন। প্রবাসীসহ সাধারণ জনগণকে ঘরে রাখা, কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা, লকডাউন অমান্যকারীদের ঘরে ফেরানো, নিজ হাতে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করা, সামাজিক দুরত্ব সৃষ্টি, জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে মাঠ পর্যায়ে নিরলস ভাবে কাজ করে চলেছেন তিনি। চলমান লকডাউনে ভ্যান চালক, চায়ের দোকানী, গরীবদের জুরুরি ত্রাণ পৌছে দিতে ছুটে চলেছেন। করোনার এই সংকটময় পরিস্থিতিতে দ্রব্যমূল্যের কৃত্রিম সংকট ও ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে নজরদারির পাশাপাশি করোনার সচেতনতায় নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন তিনি। চলমান লকডাউন বাস্তবায়নে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবকদের দায়িত্ব বন্টন সহ সার্বিক নির্দেশনা দিয়ে সুদক্ষ ও সুনিপুণ নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন ইউএনও। এ বিষয়ে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাকিম বলেন, সরকারের অর্পিত প্রতিটি দায়িত্ব পেশাদারিত্বের সাথে তিনি সঠিক ভাবে পালন করছেন।

কর্মস্থলে দক্ষতা ও সুনামের সাথে প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সুযোগ পেলেই অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। লকডাউনের বিষয় সম্পর্কে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার রবিউল ইসলাম বলেন, এটা একটি যুদ্ধ। আত্মপ্রত্যয় আর চ্যালেঞ্জ নিয়ে সকলকে এ যুদ্ধের মোকাবেলা করতে হবে। করোনা সংক্রমণ রোধে চলমান লকডাউনে উপজেলার অধিকাংশ মানুষই মেনে চলছেন। যারা বাইরে আসছেন তাদের অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার, সামাজিক দূরত্ব, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তারপরও যারা বিধিনিষেধ অমান্য করবে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান ইউএনও।