সাতক্ষীরার তালায় ২৮ মণ ওজনের ষাঁড়, নাম তার ‘বস’!

২৮ মণ ওজনের ষাঁড়, নাম তার ‘বস’!
কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে সাতক্ষীরার তালায় প্রায় ২৮ মণ ওজনের এক ষাঁড়ের সন্ধান মিলেছে। ষাঁড়টির নাম ‘বস’। ষাঁড়ের মালিক তালা উপজেলার সদর ইউনিয়নের আলাদীপুর গ্রামের মৃত সামছুর রহমান মোড়লের ছেলে এম এম দিদার।
তিনি অস্ট্রেলিয়ান ফ্রিজিয়ান জাতের এই গরুটির নাম রেখেছেন ‘বস’।

ষাঁড়টিকে দেখতে দিদারের বাড়িতে উৎসুক জনতা ভিড় জমাচ্ছেন। বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন মানুষ এই ষাঁড়কে দেখতে আসছেন। তার সঙ্গে সেলফি উঠানোর হিড়িকও চলছে।

খামারি এম এম দিদার বলেন, ‘এবারের ঈদের বাজারে বড় গরুগুলোর মধ্যে অন্যতম তার ‘বস’। বিশাল আকৃতির গরু বস-এর ওজন হবে প্রায় ২৮ মণ। করোনাকালে এতো বড় গরু এবার এলাকায় পাওয়া কঠিন হবে। ইতোমধ্যে অনেকেই দূর-দূরান্ত থেকে বসকে দেখতে আসছেন।’
‘ন্যায্যমূল্য পেলেই গরুটি বিক্রি করবেন’ বলে জানান তিনি।
তবে তিনি আশা করেন, ‘অন্তত ২৫ লাখ টাকায় গরুটি বিক্রি হবে।’ কিন্তু করোনার কারণে দাম কিছুটা কম হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘আকারে বড় হওয়ায় এই গরুটির পরিচর্যা করা খুবই কঠিন। তার খাওয়ানো, গোসল করানোসহ সব কিছুর লক্ষ্য রাখতে হয় নিয়মিত। সবচেয়ে ভালো দিক হলো- ঘাস, চালের কুড়া, লতা-পাতা খেতে পছন্দ করে বস। বসের জন্য খুদ, কুড়া, খৈল, ভুসি, ঘাস, সুষম খাদ্য আর চিকিৎসা দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৬০০ টাকা ব্যয় হয়। দুই বছর ধরে লালন-পালন করে বসের ওজন এখন ২৮ মণ।’

তিনি আরও বলেন ‘কয়েক বছর ধরে গরু লালন-পালন করছি। প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের উৎসাহে একটা খামারও করেছি। তবে অর্থের অভাবে খামারে বেশি গরু তুলতে পারিনি। কয়েকটি ব্যাংকে কথা হয়েছিল। খামার দেখে গরু কিনতে তারা ঋণ দিতেও চেয়েছিলেন। তবে পরে কোনো কারণ ছাড়াই তারা ঋণ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। যে কারণে খামার পড়ে থাকলেও গরু তুলতে পারিনি।’

তালা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সঞ্চয় বিশ্বাস বলেন, ‘কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে বিভিন্ন খামারিরা গরু প্রস্তুত শুরু করেছে। আলাদীপুর গ্রামের খামারি এম এম দিদাররের ষাঁড়টি নজর কাড়ার মতো।’
প্রাণিসম্পদ অফিস হতে তাকে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।