সাতক্ষীরার দেবহাটায় উগ্রপস্থা প্রতিরোধে আন্ত:মতাদর্শিক সংলাপ

সাতক্ষীরার দেবহাটায় উগ্রপন্থা প্রতিরোধে আন্ত:মতাদর্শিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (২৩ নভেম্বর) সকাল ১০টায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘রুপান্তরের’ বাস্তবায়নে জিসার্পের আর্থিক সহযোগিতায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পররাস্ট্র মন্ত্রণালয়ের তত্বাবধানে পিস কনসোর্টিয়াম (উগ্রপস্থা প্রতিরোধে সক্রিয় জনসম্পৃক্ত করন) প্রকল্পের আওতায় দেবহাটা সদর ইউনিয়ন পরিষদ হল রুমে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।

এতে দেবহাটা উপজেলার ধর্মীয় নেতা (ইমাম, পুরোহিত) ও পিসক্লাবের সদস্য যুব-তরুণ সহ মোট ৩০ জন অংশ নেয়।

সংলাপ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দেবহাটা সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু বকর গাজী।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সহকারী শিক্ষা অফিসার মুনির আহমেদ, উপজেলা ইমাম সমিতির সভাপতি আব্দুস সত্তার, ইউপি সদস্য আজগার আলী, রুপান্তরের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর গোলাম কিবরিয়াসহ সকল সদস্যরা উপস্থিতি ছিলেন।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন তহিদুজ্জামান তহিদ।

সংলাপ অনুষ্ঠানে শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষার অনুষঙ্গ কি? ধর্মীয় নেতারা কি ভাবে শান্তিও সম্প্রীতি রক্ষায় ভুমিকা রাখতে পারেন, সমাজের প্রতি শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষায় যুবদের কি ভুমিকা রাখা উচিত, ভিন্নমতের পথের শান্তিপূর্ন সহাবস্থান নিশ্চিত করতে একত্রে যুব ও ধর্মীয় প্রতিনিধিরা কি করতে পারেন সে বিষয়ে আলোচনা করা হয়। সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে ভুমিকা রাখা যায় সেই বিষয়ে তিনটি গ্রুপে ভাগ হয়ে আগামীর কর্ম পরিকল্পনা করেন এবং দলীয় ভাবে উপস্থাপন করেন। এছাড়া যুব-তরুণ ও জ্যেষ্ঠ ব্যক্তিদের মধ্যকার ব্যবধান কমিয়ে আনা এবং সমাজকে সুশৃঙ্খল পদ্ধতিতে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সকলে একত্রে মিলে কাজ করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন। কোন যুবতরুণ উগ্রপন্থায় যেন জড়িয়ে না পড়ে সে বিষয়ে সকলকে সজাগ থাকতে হবে।

উগ্রপস্থায় জড়িয়ে পড়ার প্রাথমিক লক্ষণ গুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে একটি সুন্দর সমাজ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব এবং সমাজ থেকে যাতে কোন ব্যক্তি বিপথে ধাবিত না হয়, হারিয়ে না যায়, ধর্মীয় অপব্যাখ্যার কবলে না পড়ে সে বিষয়ে একত্রে কাজ করার মনোভাব ব্যক্ত করেন।

একটি সহনশীল সমাজ গঠনে পরস্পরের মাঝে শান্তি ও সম্প্রীতিময় সমাজ গড়ে তুলতে পিস কনসোর্টিয়াম প্রকল্প আয়োজন করছে বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, যুবতরুণ ও স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের সাথে সংলাপ, উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সাথে মিটিং, যুবকদের দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ, আন্তজার্তিক শান্তি দিবস, আন্তজার্তিক অহিংস দিবস সহ ধর্মীয় নেতাদের আন্তঃ মতাদর্শিক সংলাপ সহ অন্যান্য কার্যক্রম।
যুব-তরুণ ও জ্যেষ্ঠ ব্যক্তিবৃন্দের সুদক্ষ ভূমিকা ও সম্পৃক্ত করতে পারলেই কেবল উগ্রতা, সহিংসতার বিপরীতে শান্তি-সম্প্রীতিময় সমাজ প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে।