সাপ্তাহিক বৈচিত্র্যময় সিলেট অফিসে গিয়ে সাংবাদিক কে হত্যার হুমকি

সিলেটে সাইবার মামলার প্রধান আসামী লাকী আহমেদ প্রকাশ্যে সিলেটের বহুল প্রচারিত সাপ্তাহিক বৈচিত্র্যময় সিলেট পত্রিকার সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার মো. কামাল আহমদকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকির অভিয়োগ পাওয়া গেছে।

এবিষয়ে সাংবাদিক কামাল আহমেদ জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সিলেট কোতোয়ালী মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছেন।

সূত্রে জানাযায়, সাংবাদিক মো. কামাল আহমেদ ওরফে নদীমুল্লাহ কামাল, সাপ্তাহিক বৈচিত্র্যময় সিলেট দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে পত্রিকার সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। গত ৫ অক্টোবর ২৩ ইং সন্ধ্যায় তিনি পত্রিকার কার্যালয় বন্দরবাজার এলাকার রংমহল টাওয়ারের পত্রিকার কাজ করছেন তখন বৈচিত্র্যময় সিলেট পত্রিকা থেকে বহিষ্কৃত সাবেক স্টাফ রিপোর্টার লাকি আহমেদ (৩২) জোরপূবর্ক অফিসে ঢোকে কামাল আহমদকে প্রকাশ্যে অশ্লীল ভাষায় গালি গালাজ শুরু করেন।

এ সময় তাকে গালি গালাজ করার কারণ জানতে চাইলে লাকী আহেমদ আরও উত্তেজিত হয়ে অফিসে হামলা ও তাকে মার ধরে জন্য এগিয়ে আসেন। তখন লাকী আহমেদের উচ্চস্বরে চেঁচামেচিতে রংমহল টাওয়ারের স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এগিয়ে আসলে লাকী আহমেদ ছটকে পড়েন তার নিজস্ব বাহিনী নিয়ে।

জানা যায়, লাকী আহেমদ বিগত ২৭ আগষ্ট ২০২৩ইং তারিখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে তাঁর নামীয় আইডি থেকে সাপ্তাহিক বৈচিত্র্যময় সিলেট পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক আবুল কাশেম রুমন সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ লেখালেখি করেন। যার প্রেক্ষিতে তার প্রমাণ সাপেক্ষে সাপ্তাহিক বৈচিত্র্যময় সিলেট পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক আবুল কাশেম রুমন বাদী হয়ে ৩০ আগষ্ট ২০২৩ইং তারিখে সিলেটের বিজ্ঞ সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে লাকী আহমেদকে বিবাদী করে মামলা করেন, মামলার নং-(১৬৬/২৩)।

ওই মামলায় কামাল আহমদ ৪ নম্বর স্বাক্ষী হওয়ার কারণে লাকী আহেমদ ৫ অক্টোবর ২০২৩ইং বিকাল আনুমানিক ৫:৩০ ঘটিকার সময় পত্রিকার অস্থায়ী কার্যালয় ২০৮নং রংমহল টাওয়ার (২য় তলা) বন্দরবাজারে বিনা অনুমতিতে জোরপূর্বক প্রবেশ করে কামাল আহমদকে উদ্দেশ্য করে বলেন সাইবার ১৬৬/২৩ নং মামলায় কেন স্বাক্ষী হলেন জানাতে চান। এবং ওই মামলার স্বাক্ষী হওয়া থেকে তিনি বিরত থাকার জন্য ভয়ভীতি, খুন-খারাপী প্রকাশ্যে হুমকি দিতে থাকেন। বিষয়টি তিনি ভিডিও প্রমান আকারে ধারণ করে সংরক্ষণ করে রেখেছেন বলে জানান।

এ ব্যাপারে বৈচিত্র্যময় সিলেটে পত্রিকার সম্পাদকের সাথে কথা বলে তিনি জানান, ঘটনার সময় শুধু মাত্র কামাল সহ আরও দুজন অফিসে ছিলেন, তখন আমি পারিবারিক একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে সিলেট শহরের বাহিরে ছিলাম, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে ছুঁটে এসে এর সত্যতা পেয়েছি। পরবর্তীতে রাতেই কোতোয়ালী মডেল থানায় সাংবাদিক কামাল আহমদ জীবনের নিরাপত্তার চেয়ে সাধাণ ডায়রী করেন। তিনি আরও বলেন উক্তর বিষয়টি নিয়ে আগামী সপ্তাহে সরকারি ছুঁটি দিন শেষে সুবিচার চেয়ে আদালতে মামলা করবেন।