সাভারে পৃথক স্থানে গ্যাস লিকেজে বিস্ফোরণ, দগ্ধ-৪

সাভার ও আশুলিয়ায় পৃথক স্থানে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের তিন নারী ও এক পুরুষ দগ্ধ হয়েছে। দগ্ধরা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের চিকিৎসাধীন রয়েছে।

শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ভোর সাড়ে ৬টার দিকে আশুলিয়ার কাঠগড়া আমতলা এলাকার মোঃ আলী আহমেদের মালিকানাধীন মা ভিলা নামের দুই তলা বাড়ির ১১ নম্বর কক্ষে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয় মা ও মেয়েসহ তিনজন।

দগ্ধ ইয়াসমিন আক্তার (৪০) গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী থানার মৃত ইসমাইলের স্ত্রী। এবং তাদের বড় মেয়ে শিমা আক্তার (২০) ও ছোটো মেয়ে সুমা আক্তার (১২)। এদের মধ্যে ইয়াসমিন আক্তার ও তার বড় মেয়ে আলাদা পোষাক কারখানায় কাজ করতেন ও ছোটো মেয়ে ৫ম শ্রেণীতে পড়াশোনা করতো।

মা ভিলার ম্যানেজার মোঃ আবু ইউসুফ আওয়ার নিউজ বিডি ডটকম কে জানায়, সকালে আমি ঘুমাচ্ছিলাম, হটাৎ বিকট আওয়াজ করে পাশের রুমে। পরে গিয়ে দেখি তিনজনের শরীরে আগুন জ্বলতে থাকে। এসময় কোনো ব্যবস্থা না পেয়ে আমরা সাবাই মিলে আগুন নির্বাপন যন্ত্র দিয়ে আগুন নিভিয়ে অ্যাম্বুলেন্সকে ফোন দিয়ে তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। বিস্ফোরনে ঘরের কিছু অংশ পুড়ে গেছে।

বিস্ফোরণটির কারণ হিসেবে তিনি বলেন, গ্যাসের সিলিন্ডার থেকে লিকেজ হয়ে সারারাতে ধীরে ধীরে বের হয়ে পুরো রুমে ছড়িয়ে যায় সকালে রান্নার জন্য দিয়াশলাই জ্বলাতে গেলে বিস্ফোরণ হয়।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে থাকা ইয়াসমিনের খালাতো ভাই মোঃ সুজা বলেন, আমার বড় বোন ইয়াসমিন ও ভাগনি শিমার শরীরের ৫০ শতাংশ পুড়ে গেছে। এছাড়া ছোটো ভাগনি সুমার অবস্থা খারাপ তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে তার শরীরের ৭০ শতাংশ পুড়ে গেছে।

অন্যদিকে সাভার পৌরসভার সবুজবাগ এলাকা রাত ৪টার দিকে গ্যাস চুলায় আগুন জ্বালাতে গিয়ে লিকেজ থেকে বিষ্ফোরন হয়ে দগ্ধ হয় মমিনুল হক। তিনি জামালপুর জেলার বাসিন্দা। তার গলার এক অংশ পুড়ে গেছে। তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে কলেজের বার্ন ইউনিটে রেখে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও ডিউটি অফিসার মালেকা বানুর সাথে যোগাযোগ করা হলে বিষয়টি তিনি জানেন না বলে জানান।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে সমন্নয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন আওয়ার নিউজ বিডি ডটকম কে বলেন, সাভার থেকে কয়েকজন দগ্ধ হয়ে আমাদের এখানে ভর্তি হয়েছে। সবই মেজর বার্ন হয়েছে। প্রায় সবারই শরীরের ৫০ শতাংশ পুড়ে গেছে।