সালথায় সহিংসতা: ৪ হাজার জনকে আসামি করে পুলিশের মামলা

ফরিদপুরের সালথায় থানা ও উপজেলা পরিষদের অফিসে হামলার ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে চার হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) দিবাগত রাতে সালথা থানায় ৮৮ জনের নাম ও অজ্ঞাত তিন থেকে চার হাজার জনকে আসামি করে মামলাটি করেন পুলিশের উপপরিদর্শক মো. মিজানুর রহমান মিজান।

ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জামাল পাশা জানান, পুলিশের পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই ঘটনায় আরও ৫টি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ পর্যন্ত ১০ জনকে আটক করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

উল্লেখ্য, গত সোমবার রাতে লকডাউনের প্রথম দিনে সরকারি নির্দেশনা পালন করতে গিয়ে জনতার সঙ্গে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও তার সহকারীদের ভুল বোঝাবুঝি হয়। তর্কে-বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন স্থানীয়রা। এক পর্যায়ে গুজব রটিয়ে উপজেলা পরিষদ, থানা ও উপজেলা চেয়ারম্যানের বাসভবনসহ বিভিন্ন অফিস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন।

পরে রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় ৫৮৮ রাউন্ড শটগানের গুলি, ৩২ রাউন্ড গ্যাস গান, ২২টি সাউন্ড গ্রেনেড এবং ৭৫ রাউন্ড রাইফেলের গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে পুলিশ। এতে রামকান্তপুর এলাকার জুবায়ের হোসেন (১৮) নামে এক যুবক নিহত হন। আহত হন প্রায় শতাধিক।

এ সময় গুলিবিদ্ধ হন আরও তিন থেকে চারজন। তাদেরকে ঢাকা ও ফরিদপুর মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে।