সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বসানো হচ্ছে বজ্রপাত নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বজ্রপাতের হাত থেকে রক্ষা পেতে বসানো হচ্ছে নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র। ইতোমধ্যেই উপজেলার বড়পাঙ্গাসী ও উধুনিয়া ইউনিয়নে দুটি যন্ত্র বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। পর্যায়ক্রমে প্রতিটি ইউনিয়নের ফাঁকা জায়গায় একটি করে বজ্রপাত নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বসানো হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আবুল কালাম আজাদ।

৩০ ফুট উঁচু স্টিলের খুঁটির অগ্রভাগে এসব যন্ত্র বাসানো হচ্ছে। প্রতিটি যন্ত্রে খুঁটির চারপাশে ৩০০ মিটারের মধ্যে বজ্রপাত হলে তাতে মানুষের কোন ক্ষতি হবে না। প্রতিটি যন্ত্র বসাতে ৬ লাখ টাকা করে ব্যয় হচ্ছে। দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থে উল্লাপাড়া উপজেলা প্রকল্প বস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় বজ্রপাত নিয়ন্ত্রণের এ কাজ করছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, এবছরই প্রথম দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে দেশে বজ্রপাত নিয়ন্ত্রণের প্রকল্প হাতে নিয়েছে।

এই প্রকল্পের আওতায় প্রাথমিকভাবে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার বড়পাঙ্গাসী ইউনিয়নের কাশেম বিলে গয়হাট্টা-উধুনিয়া রাস্তার পাশে একটি এবং উধুনিয়া ইউনিয়নের চলনবিল অধ্যুষিত বাংলাপাড়া-উধুনিয়া সড়কের পাশে একটি বজ্রপাত নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বসানো হয়েছে।

পর্যায়ক্রমে প্রতিটি ইউনিয়নের ফাঁকা জায়গায় একটি করে বজ্রপাত নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বসানো হবে। পরে এই যন্ত্রের সংখ্যা বাড়বে। এই যন্ত্রের চারপাশে ৩০০ মিটার এলাকায় বজ্রপাত হলে সংশ্লিষ্ট এলাকার লোকজন বা অন্য কোন প্রাণীর কোন ক্ষতি হবে না। উল্লাপাড়ায় নির্মিত দুটি খুঁটি সমৃদ্ধ যন্ত্রের কাজ রোববার বিকেলে শেষে হয়েছে। এই যন্ত্র দুটি এখন কার্যকর।

প্রসঙ্গতঃ গত ৮ সেপ্টেম্বর উল্লাপাড়ার পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের মাটিকোড়া দক্ষিণপাড়ার গ্রামের পাশের মাঠে রোপা ধানের চারা উত্তোলন ও বপনের সময় হঠাৎ করে শুরু হয় ঝুম বৃষ্টি। জীবন বাঁচাতে সবাই দৌরে গিয়ে ওঠেন একটি খোলা শ্যালো মেশিন ঘরে। পরে বজ্রপাতে এক পরিবারের ৫ জনসহ ৯ জন নারী পুরুষ নিহত হন। আহত হন আরও ৪ জন। এই ঘটনার পর উল্লাপাড়ার মানুষ এখন আকাশে মেঘ দেখলেই শংকিত হয়ে পড়ছেন।