সিলেটের হাসপাতাল গুলোতে রোগী ও স্বজনদের ছুঁটাছুঁটি

সিলেট জুঁড়ে ক্রমান্বয়ে করোনার থাবা বেড়েই চলেছে। প্রতিদিন ভয়ষ্কর রূপ ধারণ করছে। শহরের চেয়ে সিলেটে গ্রামের এখন বেশির ভাগ মানুষ করোনার আক্রান্তের শিকার হচ্ছেন। পরিস্থিতি অনুকুলের বাহিরে চলে গেলে ডাক্তারের স্বরণাপন্ন হচ্ছে। অনেকে আবার হাসপাতালের দিগে ছুঁটছেন কিন্তু রোগী নিয়ে এ হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতাল ছুঁটাছুঁটি কিন্তু নেই কোন সিট,আইসিইউ বেডের জন্য হাহাকার দেখা দিয়েছে। গত এক মাসে শুধুমাত্র সিলেট জেলায় করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে প্রায় সাড়ে ৮ হাজারের বেশী মানুষের শরীরে। মারা গেছেন প্রায় ২শ’র কাছাকাছি।
জানা যায়, সিলেট বিভাগে সরকারি বেসরকারি প্রায় ৮শ’টি কোভিড বেড রয়েছে। সবমিলিয়ে আইসিইউ বেড রয়েছে ১২৭টি। এর মধ্যে সরকারি ভাবে ডা. শামসুদ্দিন হাসপাতালে ১৬টি, ওসমানী হাসপাতালে ৮টি এবং মৌলভীবাজার হাসপাতালে ৬টি আইসিইউ বেড রয়েছে। এছাড়া, বেসরকারি হাসপাতালে কোভিড বেড রয়েছে-৯৭টি।
জানা যায়, সরকারী দুই হাসপাতালে শয্যা সংখ্যার বিপরীতে বেশী রোগী বর্তমানে চিকিৎসা নিচ্ছেন। অনেকে সাধারণ শয্যা না পেয়ে মেঝেতে অবস্থান করছেন। বেসরকারী হাসপাতাল গুলোতেও সাধারণ শয্যা খালি নেই।
সিলেট ওসমানী মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন এক রোগীর স্বজন জানান, প্রায় ৫ দিন ধরে রোগী নিয়ে হাসপাতালে অবস্থান করছেন। সাধারণ শয্যা না পাওয়ায় অনেকের মতো তারাও মেঝেতে অবস্থান নিয়েছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আন্তরিকতা স্বত্ত্বেও পরিস্থিতি বিবেচনায় তাদেরকেও পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ।
যে হারে সিলেটে করোনায় সংক্রামন বাড়ছে যদি এভাবে বাড়তে থাকে সিলেটের পরিস্থিতি ভায়নক রূপ ধারণ করবে। সিলেট স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীদের মতে মানুষ যদি সচেতন না হয় তাহলে এর উত্তোরণ পাওয়া খুব কষ্ট হবে মানুষ মারা যাবে বেশি।