সিলেটে নববধু ধর্ষণ মামলার বিচার শুরু! আসামীদের জামিন নামঞ্জুর

সিলেটের ঐতিহ্যবাহী এমসি কলেজে নববধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার বিচার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

রোববার (১৭ জানুয়ারি) সিলেট বিভাগীয় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি রাশিদা সাঈদা খানম সকাল ১১ টায় ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মোহিতুল হকের আদালতে আলোচিত এ ধর্ষণ মামলার চার্জ গঠন করেন। এ মামলায় মোট ৮ জন আসামীর বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেছেন আদালত। এ চার্জ গঠনের মধ্যদিয়ে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গৃহবধূ ধর্ষণ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হলো। সকাল ১১ টায় কড়া নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে মামলার এজাহারভুক্ত মামলার ৮ আসামিকে সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহপরান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য।
সকল আসামির উপস্থিতেই সিলেটের (এমসি) কলেজ ছাত্রাবাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার চার্জ গঠন করেন আদালত। সেদিন পুলিশের প্রদান করা সংঘবদ্ধ ধর্ষণর মামলার এ চার্জশিটে কোনো ধরনের কোনো আপত্তি নেই বলে জানিয়েছিলেন বাদী পক্ষের আইনজীবীরা।

সূত্রে উল্লেখ্য যে, গত ৩ ডিসেম্বর সিলেটে ছাত্রলীগের ৮ নেতাকর্মীকে অভিযোগ করে আলোড়ন তোলা এই মামলার অভিযোগপত্র প্রদান করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহপরান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য।

মামলার এজহারে সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেকুল ইসলাম তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল ও মিসবাউল ইসলাম রাজন মিয়াকে সরাসরি ধর্ষণে সম্পৃক্ত এবং রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান মাসুমকে ধর্ষণের সহযোগী হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এই আটজনই বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২৫ সেপ্টেম্বর বিকেলে স্বামীকে নিয়ে শাহপরান মাজারে বেড়াতে গিয়ে ছিলেন নির্যাতনের শিকার তরুণী (২৫)। ফেরার সময় তারা গাড়ি থামিয়ে ছিলেন টিলাগড় এলাকার এমসি কলেজের প্রধান ফটকের সামনে। স্ত্রীকে প্রাইভেটকারে রেখে স্বামী পাশ্ববর্তী দোকানে গিয়ে ছিলেন। ওইসময় প্রাইভেটকারটি ঘিরে ধরে কয়েকজন তরুণ। প্রাইভেটকারসহ ওই দম্পতিকে তারা নিয়ে যায় বালুচর এলাকার এমসি কলেজ ছাত্রাবাসের ভেতরে। সেখানে স্বামীর সামনেই গাড়ির ভেতর সংঘবদ্ধ ভাবে তরুণীকে ধর্ষণ করে ৬ তরুণ। পরে তাদের মারধর করে টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেয় ধর্ষকরা। আটকে রাখে তাদের গাড়িও।

ওই দিন দিবাগত রাতেই নির্যাতনের শিকার স্বামী বাদী হয়ে শাহপরান থানায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।