সিলেটে ব্যাংকার হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার অটো রিক্সা চালকের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ

গত কয়েক দিন ধরে সিলেটে ব্যাংকার হত্যার ঘটনায় উত্তাল আন্দোলন ও মানবন্ধন আর প্রতিবাদে নেমেছিলেন সিলেটে কর্মকরত ব্যাংক কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা,তাদের সথে যুক্ত হয়ে ছিলেন সাধারণ মানুষ। সবার দাবী প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা। পুলিশ আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষে নানা কৌশল খুজে আসামীদের গ্রেফতারের জন্য আপ্রাণ চেষ্ঠা চালায়। ইতোমধ্যে বন্দরবাজার এলাকায় ঘটনার আশ পাশ এলাকা থেকে সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করেছে।
২০ ফেব্রুয়অরী শনিবার বিকালে সিলেটের জৈন্তাপুরের হরিপুর থেকে একটি সিএনজি অটোরিকশায় নগরীর বন্দরবাজারে আসেন ব্যাংক কর্মকর্তা মওদুদ আহমেদ (৩৫)। সেখানে চালক নোমান হাছনুরের (২৮) সাথে ভাড়া নিয়ে বাগবিতন্ডা হয় মওদুদের। তখন হাছনুরসহ সিএনজি অটোরিকশা চালকরা মওদুদ আহমেদকে বেধড়ক মারধর করেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হলে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুর পর হত্যাকান্ড কে সড়ক দুর্ঘটনা বলে প্রচার চালায় পরিবহন শ্রমিকরা।
নিহত মওদুদের বড় ভাই আব্দুল ওয়াদুদ বাদী হয়ে সিলেট সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের টুকেরগাঁও পশ্চিমপাড়া গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে সিএনজি অটোরিকশাচালক নোমান হাছনুর নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ অভিযোগের সূত্র ধরে পুলিশ নানা তথ্য সংগ্রহ করতে থাকে প্রকৃত আসামীদের ধরতে।
এদিকে এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে আন্দোলনে রাস্তায় নেমে আসেন সিলেটের ব্যাংকের কর্মকর্তারা। সিলেটের সর্বস্তরের ব্যাংক কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ, ব্যাংক কর্মচারী ফেডারেশন, অগ্রণী ব্যাংক কর্মচারী সংসদ, সোনালী ব্যাংক, তরুণ পেশাজীবি সমিতি ও অগ্রণী ব্যাংক অফিসার্স সমিতি সিলেট এরকম কয়েকটি সংগঠন এই আন্দোলনের সাথে একাত্মতা পোষণ করে।
বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আদালতে আত্মসমর্পণ করেন অটোরিক্সা চালক হাসনুর। তখন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাসনুরের ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক সাইফুর রহমান তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বলে জানান আসামি পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট দেলোয়ার হোসেন দিলু।