সাতক্ষীরায় করোনাকালে স্কুল মাঠে চোখ ধাঁধানো সবজি চাষ

বিদ্যালয়ের প্রধান ফটক পেরিয়ে দুই-চার কদম গেলেই শিক্ষার্থীদের খেলার মাঠ। মাঠের চার পাশে এক কোনায় গাছে গাছে দুল খাচ্ছে নানান জাতের সবজি। কালো মরিচ, টমেটো, পাতা কপি, পেয়াজ ও বেগুন। সমস্ত সবজি বাগান ঢাকা পড়েছে গাছের সবুজ পাতায়। মাটিতে থোকায় থোকায় লাল সবুজের বাহারী রং ছড়াচ্ছে লালশাক-পুইশাকের মেচুড়ি। লকলকিয়ে বেড়ে উঠছে পুঁই আর ডাটাশাক। আর স্কুলে টিনসেড বিল্ডিংয়ের চালে মাচায় ঝুলছে লাউ। লাউ গাছে সাদা ফুল ফুলে ভরে গেছে। পেঁপে গাছের ডগার ফাঁক দিয়ে উঁকি দিচ্ছে নতুন কটি।
এছাড়া পুরো বিদ্যালয় জুড়ে লাগানো আছে৫০টি ওষুধি গাছ।

চোখ ধাঁধানো সবুজের এই সমারোহ চোখ পরে সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার ১০৫ নং দেয়াড়া সরকারী প্রাখমিক বিদ্যালয়ে।

করোনাকালে সারাদেশের মতো এই বিদ্যালয়টিও বন্ধ রয়েছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খাতুন অবসর সময় কাটাতে বিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় শকের সবজি বাগান গড়ে তুলেন। তার এই সবজি চাষ দেখে এখন এলাকার সাধারণ মানুষরা সবজি চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।

এরই মধ্যে অনেক শিক্ষক তাদের বাড়ীর অঙ্গিনায় সবজি চাষ শুরু করেছেন।

সরজমিনে দেখা যায়, হরেক রকমের সবজি, ফলজ, বনজ ও ওষুধি গাছের সমারোহে ভরে উঠেছে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ। পাশেই রয়েছে একটি নার্সারী।

প্রধান শিক্ষিকা রাবেয়া খাতুন জানান, ‘করোনার কারণে মার্চ মাস থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এই অলস সময় পার করার জন্য তিনি শখের বসে বিদ্যালয়ের অঙ্গিনায় একটা দুটা করে সবজি চাষ শুরু করেন। কিন্তু এটা যে এতো ব্যপকতা লাভ করতে তা তিনি আগে ভাবেননি। তবে এখন তিনি মনে করছেন বিদ্যালয় খোলার পর সবজির মাঠ দেখে শিক্ষার্থীরাও সবজি চাষে উৎসাহিত হবে।’

‘তার এই নার্সারী থেকে সল্প মূল্য শিক্ষার্থীদের চারা দেয়া হবে।’- যোগ করেন তিনি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রফিকুল ইসলাম বলেন, এটা খুবই চমৎকার উদ্যোগ। শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে ক্লাস শেষে প্র্যাকটিক্যালি সবজি চাষ শিখতে পারবে।