সিলেট শহরে অসহনীয় যানজট!! ভোগান্তিতে জনসাধারণ

রমজানের শুরুতে সিলেট নগরীতে তীব্র জানজট দেখা দিয়েছে। শহরে অসহনীয় যানজটে ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে জনসাধারণ।

মাহে রমজানকে সামনে রেখে যানজট নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক পুলিশ বাড়তি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিলেও তেমন একটা কাজে আসেনি। প্রতিটি পয়েন্টে সিগন্যালে ২০ থেকে ২৫ মিনিট পর্যন্ত যানজটে আটকে থাকতে হয়েছে। এ অবস্থায় যানজট নিয়ন্ত্রণে নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে পরিবহন মালিক সংগঠনের নেতারা বলছেন, রিকশা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব সিটি কর্পোরেশনের। আর মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়ি বন্ধ রাখার দায়িত্ব নগর পুলিশের।

অন্যদিকে নগরের কয়েকটি সিএনজি ফিলিং স্টোশনে গ্যাস না থাকায় অনেকেই পরিবহন সংকটে পড়তে হয়েছে। কেউ কেউ পায়ে হেঁটে নিজ নিজ গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে। প্রতি মাসের শেষের দিকে এই সমস্যায় পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে।

মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ জানিয়েছে, বেশ কয়েকটি কারণে নগরে যানজট হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে। কারণ গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে রমজান হওয়ায় প্রতিদিন কেনাকাটা করতে বিভিন্ন উপজেলা থেকে অসংখ্য মানুষ নগরে আসছে, অপ্রশস্ত রাস্তাঘাট, অধিকাংশ সড়কে সংস্কারকাজ চলছে। এছাড়া নগরের অধিকাংশ মার্কেট ও হাসপাতালে পার্কিং ব্যবস্থা না থাকা। তবে নগরবাসীর অভিযোগ, রমজানকে সামনে রেখে নগরের প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে পাড়া-মহল্লায় অবৈধ অটোরিকশার পাশাপাশি নিষিদ্ধ ঘোষিত ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল করাই যানজটের প্রধান কারণ।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় নগরের প্রবেশপথ উপশহর পয়েন্ট থেকে সোবহানীঘাট সড়কে দিনভর যানবাহনের চাপ দেখা গেছে। যানজটের একই চিত্র দেখা গেছে বন্দারবাজার-জিন্দাবাজার-আম্বরখানা সড়কে। নগরীর প্রাণকেন্দ্র বন্দরবাজারকে কেন্দ্র করে আশপাশের প্রায় এক কিলোমিটার এলাকা দিনের বেশির ভাগ সময় যানজটে স্থবির ছিল। এর বাইরে নাইওয়রপুল থেকে কুমারপাড়া, নাইওয়রপুল হয়ে শিবগঞ্জ-টিলাগড় পর্যন্ত কয়েক প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকায়ও সৃষ্টি হয় অস্বাভাবিক যানজটের। এছাড়া সুবিদবাজার থেকে পাঠান টুলা এলাকায় একই চিত্র দেখা যায়।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. ছাদেক কাওছার দস্তগীর জানান, রমজানকে কেন্দ্র করে জেলা ও উপজেলা থেকে প্রচুর সংখ্যক মানুষ বিভাগীয় শহর সিলেটে কেনাকাটা করতে আসছে। নগরে মানুষের উপস্থিতি বেড়ে যাওয়ার কারণেই মূলত যানজট দেখা দিচ্ছে। তবে নগরের অধিকাংশ বিপণি বিতান ও হাসপাতালে পার্কিং সুবিধা না থাকায় মানুষজন রাস্তার মধ্যেই গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখছে, এতেও যানজট দেখা দিচ্ছে। তবে রমজানে ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে বাড়তি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যানজটে যাতে মানুষকে ভোগান্তিতে পড়তে না হয় সে জন্য নগরে ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তাসহ ১২৮জন সদস্যের পাশাপাশি বিশেষ ফোর্স মাঠে থাকে কাজ করবে বলে জানান।