সীমান্তে উজানের ঢলে রাস্তা-ঘাট ভেঁঙ্গে যাওয়ায় দূর্ভোগ

হামিদা আক্তার, নীলফামারী থেকে : উত্তরাঞ্চলীয় জেলা নীলফামারীর ডিমলা সীমান্তে উজানের ঢলে বুড়িতিস্তা নদীর প্রবল স্রোতে ভেঙ্গে যায় অন্তত অর্ধ-শতাধিক পুল, কালভার্ট, ব্রীজ ও রাস্ত-ঘাট। সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। আকর্ষিক এ বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি হয় প্রায় ২০ হাজার একর আবাদী জমি। বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়ে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের বাস্তুহারাসহ প্রায় ১০টি গ্রাম। বুড়ি তিস্তা নদীর পানি উছলে ক্ষতি হয় বালাপাড়া ইউনিয়নের ছাতনাই বালাপাড়া, শোভানগঞ্জ, কুঠিপাড়া, গুচ্ছগ্রাম, মাইজালির ডাঙ্গা, ফরেষ্টের ডাঙ্গা ও রামডাঙ্গাসহ প্রায় ১৫/২০টি গ্রাম। নিম্নাঞ্চলগুলি থেকে বন্যার পানি নেমে গেলেও চলাচলের রাস্তাগুলি ভেঙ্গে যাওয়ায় এসব গ্রামের মানুষজন নির্বিঘ্নে যেতে পাড়ছে না হাট-বাজার। ব্যবসা-বানিজ্যে প্রতিনিয়তই হচ্ছেন ক্ষতির শিকার। এলাকাবাসীদের পক্ষে অনেকেই জানান, ভারতের কুচবিহার জেলার হলদিবাড়ীর শামিলাবাঁশ সীমান্তে ভূজালীপাড়ায় ভারত সীমান্তে একটি ব্রীজ গেল বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হলে প্রবল বেগে উজানের ঢল বুড়িতিস্তা দিয়ে দেশের অভ্যান্তরে নেমে আসে নিম্নাঞ্চলগুলিতে। আকর্ষিক এ পানির ঢলে বালাপাড়া সীমান্তে কাঁচা-পাকা রাস্তাগুলি ভেঁঙ্গে যায় নিমেশেই। বন্যা পরবর্তীতে রাস্তাগুলি সংস্কার না হওয়ায় চরম দূর্ভোগে পড়েছে বুড়িতিস্তা নদীর দুই ধারে বসবাসকারী হাজার হাজার মানুষ। ভেঁঙ্গে যাওয়া এসব রাস্তা মেরামতের উদ্যোগ না থাকায় বালাপাড়া বিওপি কোম্পানী সদরের আওতায় থাকা বালাপাড়া বিওপি কোম্পানী সদর থেকে ডোমার উপজেলার গোমনাতী বিওপি ক্যাম্পে বিজিবি সদস্য সীমান্ত টহলে পড়ছে দুর্ভোগে। সীমান্তের ও পশ্চিম ছাতনাইসহ বেশ কয়েকটি বিওপি ক্যাম্পে যেতে হয় ২০-৩০ কিলোমিটার ঘুরে। এসব এলাকায় বিজিবি সদস্যরা সীমান্তে টহলে গিয়ে দূর্ভোগে পড়ছে বলেও জানান বালাপাড়া বিওপি ক্যাম্পের হাবিলদার তানভীর হোসেন। রাস্তাগুলি দ্রæত মেরামতের উদ্যোগ নিতে সংশ্লিষ্টদের কাছে অনুরোধ জানান এলাকাবাসীর পক্ষে অনিল অধিকারী, সায়েদ উদ্দিন, উন্নয়ন কর্মী অজিবর রহমান লেবু প্রমূখ। এ ব্যাপারে বালাপাড়া ইউপি’র সদস্য সাইদুল ইসলাম জানান, রাস্তাঘাট ভেঁঙ্গে যাওয়ায় এলাকায় মানুষের চলাচলে খুবই অসুবিধা হয়েছে। বালাপাড়া ইউপি সচিব নুর মোহাম্মদ খান জানান, ইউপিতে কোন বরাদ্দ নেই তাই রাস্তাগুলি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া যাচ্ছে না। সরকারীভাবে উদ্যোগ নিলে এলাকার মানুষের চলাচলে দূর্ভোগ কমে যাবে।