স্বতন্ত্র প্রার্থী আলমের নির্বাচনে বাধা নেই,সিমিনের আবেদন খারিজ
গাজীপুর-৪ আসনের (কাপাসিয়া) স্বতন্ত্র প্রার্থী আলম আহমেদের মনোনয়নপত্র গ্রহণ ও প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার আদেশ প্রত্যাহার চেয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সিমিন হোসেন রিমির করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ফলে স্বতন্ত্র প্রার্থী আলম আহমেদের নির্বাচন করতে কোনো বাধা নেই।
শুনানির জন্য নির্ধারিত দেন মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ ও নিয়মিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার আদেশ প্রত্যাহার চেয়ে করা আবেদনের শুনানি নিয়ে গত বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) চেম্বার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম এ দিন ধার্য করেন। তারই ধারাবাহিকতায় আজ সেটির শুনানি হয়।
আদালতে আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী তানিয়া আমীর, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো. ইয়াদনান রফিক ও সাফওয়ান করিম। আলম আহমেদের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী ও আইনজীবী মনিরুজ্জামান আসাদ।
আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে আলম আহমেদের আইনজবী মনিরুজ্জামান আসাদ জাগো নিউজকে বলেন, এ আবেদনে পক্ষভুক্ত হয়েছেন ওই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সিমিন হোসেন।
হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে চেম্বার আদালতের দেওয়া আদেশ স্থগিত চেয়েছেন তিনি। আদালত আবেদনটি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করেন। আজ শুনানি শেষে সেটি খারিজ করে দেন। ফলে স্বতন্ত্র প্রার্থী আলম আহমেদের নির্বাচন করতে কোন বাধা নেই।
এ আইনজীবী জানান, এ সময়ের মধ্যে আলমকে নিয়মিত লিভ টু আপিল (আপিল করার অনুমতি চেয়ে আবেদন) করতে বলেছেন আদালত। এ অবস্থায় ঈগল প্রতীক নিয়ে আলমের নির্বাচনী কার্যক্রম চালাতে আইনগত কোনো বাধা নেই।
ঋণ খেলাপির অভিযোগে আলম আহমেদের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন গাজীপুরের রিটার্নিং কর্মকর্তা। এর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) তিনি আপিল করেন, যা গত ১৩ ডিসেম্বর খারিজ হয়।
এর বৈধতা নিয়ে ও প্রার্থিতা ফিরে পেতে হাইকোর্টে রিট করেন আলম আহমেদ। হাইকোর্ট রিটটি সরাসরি খারিজ করে দেন। এ আদেশের বিরুদ্ধে ও প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিল বিভাগে আবেদন করেন আলম আহমেদ, যা গত ১৯ ডিসেম্বর চেম্বার জজ আদালতে শুনানির জন্য ওঠে।
ওইদিন শুনানি নিয়ে চেম্বার আদালত আলমের মনোনয়নপত্র গ্রহণ করে তাকে প্রতীক বরাদ্দ দিতে ইসিকে নির্দেশ দেন। এতে তার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ তৈরি হয়।
ওইদিনই চেম্বার আদালতের দেওয়া আদেশ প্রত্যাহার চেয়ে আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদন করেন নৌকার প্রার্থী সিমিন হোসেন। তার সেই আবেদনের ওপর শুনানির জন্য ২৭ ডিসেম্বর দিন রাখেন চেম্বার আদালত। সে অনুযায়ী আজ শুনানি শেষে আবেদনটি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন চেম্বার বিচারপতি।
সিমিন হোসেন রিমি বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের মেয়ে। অন্যদিকে, স্বতন্ত্র প্রার্থী আলম আহমেদ তাজউদ্দীন আহমদের ভাগ্নে। তিনি তাজউদ্দীনের ছোট বোন মরিয়ম হেলালের ছেলে। এ দুই প্রার্থী সম্পর্কে মামাতো-ফুফাতো ভাইবোন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন