নির্বাচনী নিরাপত্তায় সেনাবাহিনীসহ মাঠে থাকবে সাড়ে ৭ লাখ ফোর্স

বিএনপিসহ সমমনা কয়েকটি দলের নির্বাচন বর্জনের মধ্যেও জমে উঠেছে নির্বাচনী প্রচারণা। লড়াইটা হচ্ছে মূলত আওয়ামী লীগ ও নিজ দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে। প্রচার-প্রচারণা কেন্দ্র করে এরই মধ্যে বেশকিছু সংঘাতের খবর মিলেছে। বিরোধীদের ভোট বর্জনসহ অসহযোগের হুমকি তো আছেই। তাই সহিংসতার বিষয়ে সজাগ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে মাঠে থাকবে র‌্যাব, পুলিশ, আনসার, বিজিবি, কোস্টগার্ড, এপিবিএনের সাড়ে সাত লাখ ফোর্স। ভোটের আগে-পরে ১৩ দিন থাকবে সেনাবাহিনী।

জানা যায়, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র, প্রার্থী, ভোটার, প্রিসাইডিং অফিসার ও রিটার্নিং অফিসারসহ প্রত্যেককে নিরাপত্তা দিতে এরই মধ্যে নির্বাচনী ছক তৈরি করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে মাঠে মোতায়েন করা রয়েছে সাড়ে সাত লাখের বেশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, যা গত একাদশ সংসদ নির্বাচনের চেয়ে এক লাখ ৩০ হাজার বেশি।

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের ভোটে বিজিবি-কোস্টগার্ড ১১ দিন, র‌্যাব-আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ৮ দিন, সশস্ত্রবাহিনী ১০ দিন নিয়োজিত ছিল। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি এবং ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের সংসদ নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীর প্রায় ৫০ হাজার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছিল।

পুলিশ সদরদপ্তর সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনে সেনাবাহিনী, র‌্যাব, বিজিবি, আনসার ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা মাঠে থাকলেও নিরাপত্তার মূল দায়িত্বে থাকবে পুলিশ। নির্বাচনে পুলিশের প্রায় ৮০ শতাংশ সদস্য ভোটের মাঠে মোতায়েন থাকছে। নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য অধিকাংশ জায়গায় বিরতিহীনভাবে ডিউটি থাকবে পুলিশ সদস্যদের। আবার কিছু জায়গায় থাকবে শিফটিং ও মোবাইল টহল। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা দিতে পুলিশ সদস্যরা নিজেদের ও অন্য বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবেন।

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন থানা এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পুলিশ সদস্যরা প্রতিদিন যেসব কাজ করেন, এর বাইরেও এখন বাড়তি কাজ করতে হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় নজরদারি বাড়ানো, সভা ও মিছিল-মিটিংয়ে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বাড়তি নিরাপত্তা, টহল বাড়ানোসহ নানা কাজ করতে হচ্ছে পুলিশকে। ইসির নির্দেশে তারা রুটিন ডিউটির বাইরে এসব কাজ করছেন। ফলে ক্লান্তি বেড়েছে পুলিশের প্রত্যেক সদস্যের।

এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারেও কাজ করছে পুলিশ। এবার বৈধ অস্ত্র জমা না নেওয়ায় অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার যাতে কোনোভাবে না বাড়ে সে দিকটিও খেয়াল রাখতে হচ্ছে পুলিশকে।