হাইকোর্টের রায়: দ্বিতীয় দফা গ্যাসের দাম বৃদ্ধি অবৈধ

চলতি বছরে দ্বিতীয় দফায় গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি করা অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এ নিয়ে জারি করা রুলের শুনানি শেষে আজ রোববার বিচারপতি জিনাত আরা ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

আদালতে বিইআরসির পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তিতাস গ্যাসের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ইশরাত জাহান। রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী ও মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।

এর ফলে আগের দাম বহাল করতে হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী।

তবে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু বলেন, রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে। তিনি আরো বলেন, গত জুন থেকে দ্বিতীয় দফায় গ্যাসের দাম কার্যকর হয়েছে। জুলাই মাসও চলে যাচ্ছে। এই দুই মাস রায়ের আওতাভুক্ত হবে না।

এর আগে ২৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বিইআরসি ভবনে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাম বৃদ্ধির ঘোষণা দেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলাম।

বিইআরসি ঘোষণা অনুযায়ী, মার্চ থেকে প্রতি চুলা গ্যাসের দাম ৭৫০ টাকা, এটা জুনে বেড়ে গিয়ে দাঁড়ায় ৯০০ টাকায়। আর মার্চ থেকে দুই চুলা গ্যাসের দাম ৮০০ টাকা, যা জুনে গিয়ে দাঁড়ায় ৯৫০ টাকায়। অন্যদিকে মার্চ থেকে প্রতি ঘনমিটার সিএনজি গ্যাসের দাম বাড়ে ৩৮ টাকা, যেটা জুনে বেড়ে ৪০ টাকা হয়। মার্চ থেকে গ্যাসের বাণিজ্যিক ইউনিটপ্রতি খরচ ১৪.২০ টাকা, আর জুন থেকে এ ক্ষেত্রে খরচ বাড়ে ১৭.৪০ টাকায়।

এ দাম বাড়ানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আদালতে রিট আবেদন দায়ের করেন কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) কনজুমার কমপ্লেইন হ্যান্ডলিং ন্যাশনাল কমিটির আহ্বায়ক স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন।

এ আবেদনের শুনানি নিয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট ১ জুন থেকে দ্বিতীয় দফা গ্যাসের দাম বৃদ্ধি ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে রুল জারি করেন।

পরবর্তী সময়ে বিইআরসির পক্ষে আপিল আবেদন করার পর হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত হয়ে যায়। পাশাপাশি আপিল বিভাগ রুল শুনানি করতে নির্দেশ দেন। সে অনুসারে হাইকোর্টে রুল শুনানি শেষ হয়।