হাইতি বন্দর থেকে জাতিসংঘের ত্রাণের কনটেইনার লুট

হাইতির প্রধান বন্দর থেকে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের একটি ত্রাণবোঝাই কনটেইনার লুট হয়েছে। শনিবার লুট হওয়া কনটেইনারে ‘মাতৃত্ব, নবজাতক ও শিশুদের প্রাণ রক্ষার জন্য জরুরি’ পণ্য ছিল। খবর সিএনএনের।

ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের দেশ হাইতিতে রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা দীর্ঘদিনের। যার সমাধান না হওয়ায় এর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে দেশটির অর্থনীতিতে।

খাদ্যাভাব চরমে পৌঁছেছে, দেখা দিয়েছে মানবিক সংকট। ইউনিসেফ থেকে সতর্ক করে বলা হয়, দেশটিতে রেকর্ড পরিমাণ মানুষ অনাহারে ভুগছে এবং রাজধানী পোর্ট- ঔ-প্রিন্স-এর বিভিন্ন অংশে প্রাণঘাতী অপুষ্টি দেখা দিয়েছে।

দেশটির অনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি এ সপ্তাহে বলেছেন, একটি অন্তর্বর্তীকালীন কাউন্সিল চালু হলে তিনি পদত্যাগ করবেন। সশস্ত্র বিভিন্ন গ্যাং বর্তমানে রাজধানীর বিভিন্ন অংশের নিয়ন্ত্রণ করছে। বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা থেকে বলা হয়, এসব গ্যাং গণহারে হত্যা, অপহরণ ও ধর্ষণ করছে।

ইউনিসেফ জানায়, পোর্ট-ঔ-প্রিন্স বন্দরে তাদের ত্রাণের ১৭টি কনটেইনার এসেছে। সেগুলো থেকে একটি লুট হয়েছে।

ইউনিসেফের হাইতি প্রতিনিধি ব্রুনো মায়েস এক বিবৃতিতে বলেছেন, শিশুদের জীবন রক্ষার জন্য জরুরি ত্রাণ সরবরাহ লুটপাট অবশ্যই দ্রুত বন্ধ করতে হবে।

এমন একটি সংকটময় মুহূর্তে লুটের ঘটনা ঘটছে যখন শিশুদের ওইসব জিনিসের সবচেয়ে বেশি দরকার।

এদিকে নিরাপত্তাজনিত কারণে রাজধানীর কয়েকটি হাসপাতাল নিজেদের কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে। নগরীতে বর্তমানে মাত্র দুটি হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের ব্যবস্থা আছে বলেও জানিয়েছে ইউনিসেফ।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি এবং চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাবে হাইতিজুড়ে কমবেশি সব হাসপাতালই নিজেদের কার্যক্রম ঠিকমতো চালাতে পারছে না। ১০টির মধ্যে ছয়টি চিকিৎসাকেন্দ্রই তাই বন্ধ হতে বসেছে বলেও জানিয়েছে ইউনিসেফ।