হাতিরঝিলে ঈদ উল্লাসে মেতেছে নগরবাসী

রাজধানীর চিরচেনা হাতিরঝিলে ঈদ উল্লাসে মেতে উঠেছেন নগরবাসীরা। ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে সোমবার সকাল ৮টা থেকেই বিনোদনপ্রেমীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে হাতিরঝিল। দিন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাতিরঝিলে জনস্রোত বেড়েই চলেছে। প্রিয়জনকে নিয়ে আনন্দঘন সময় কাটাতে হাজারো মানুষ ভিড় জমিয়েছে।

হাতিরঝিলের বিশেষ আকর্ষণ ওয়াটার বাসে চড়ে নদীতে ভাসার আনন্দ উপভোগ করার পাশাপাশি হরেক রকম সৌন্দর্যে বিমোহিত দর্শনার্থীরা। আগত বিনোদনপ্রেমীরা কেউ রেলিংয়ে ধরে মুহূর্তটিকে স্মৃতিময় করে রাখতে সবাই মিলে ছবি তুলছেন, কেউবা প্রিয়জনকে নিয়ে এক ক্লিকে নিজেদের ফ্রেমবন্দি করছেন সেলফিতে।

অনেকে আবার বন্ধু-বান্ধবকে নিয়ে পিকআপে চড়ে নেচে-গেয়ে হৈ-হুল্লোড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন গোটা হাতিরঝিল। এরমধ্যে কেউ আবার ঝিলের পাড়ে বসে গল্প-আড্ডায় মেতে উঠেছেন। সবার চোখে মুখেই ছিল ঈদ আনন্দের ছাপ। ব্যস্ত নগরীতে স্বস্তির জায়গা হিসেবে পরিচিত হাতিরঝিলে সন্ধ্যা নাগাদ তিল ধারণের ঠাইও পাওয়া যাবে না।

রাজধানীর মিরপুর থেকে সস্ত্রীক হাতিরঝিলে এসেছেন মারুফ-জিনিয়া দম্পতি। দু’জনেই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন। তারা বললেন, কাজের জন্য আনন্দ উল্লাস করার সময় মেলে না। একমাত্র সন্তানকে নিয়ে ঘুরতে এসে বেশ ভাল লাগছে। হাতিরঝিলের অভূতপূর্ব সৌন্দর্যের প্রসংশাও করেন এই দম্পতি।

এদিকে পিকআপে চড়ে উচ্চ স্বরে গান বাজিয়ে হৈ-হুল্লোড় করে আনন্দ করছিলেন সাব্বির হোসেন ও তাদের বন্ধুরা। উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে তারা বলেন, ‘একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করি। সময় পাই না। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডাও হয় না। তাই ঈদের ছুটিতে সবাই মিলে আনন্দ করছি।’

ঈদের ছুটিতে দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় হাতিরঝিলের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে হাতিরঝিলের বিভিন্ন পয়েন্টে মোটরসাইকেল ও সন্দেভাজন গাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।