লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় বিএনপি’র ও ছাত্রলীগের মধ্যে সংর্ঘষের ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার (১৭ জুন) দুপুরে হাতীবান্ধা উপজেলার ভেলাগুড়ি ইউনিয়নের বুড়িরহাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ওই সংর্ঘষে উভয় দলের অন্তত ২০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছে। এতে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

জানাযায়, ওই এলাকায় একটি দোয়া অনুষ্ঠান শেষে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটি’র সদস্য ব্যারিস্টার হাসান রাজীব প্রধান অপর একটি অনুষ্ঠানে নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে যাচ্ছিলেন। একই পথে যাচ্ছিলেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরাও। এতে দুই দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে প্রথমে ধাওয়া, পাল্টা-ধাওয়া পরে সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে ।

এসময় উভয় দলের অন্তত ২০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছে। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার জন্য বিএনপি ও ছাত্রলীগ একে অপরকে দায়ী করেছেন।

এ ব্যাপারে হাতীবান্ধা উপজেলার ভেলাগুড়ি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আ: রহমান রিপন বলেন, বিএনপি নেতা ব্যারিষ্টার হাসান রাজিব প্রধান ভেলাগুড়িতে একটি অনুষ্ঠানে আসেন। অনুষ্ঠান শেষ করে তারা দলবল দিয়ে রাস্তায় আমাদের নেত্রীকে নিয়ে কুটক্তি মুলক শ্লোগান দেন এবং বাজে মন্তব্য করে গালিগালাজ করছিল। পথিমধ্যে ছাত্রলীগের কর্মীরা প্রতিবাদ করলে এতে সংর্ঘষে রুপ নেয়। এতে ছাত্রলীগের বেশকিছু নেতাকর্মী আহত হয়। তবে রাতেই জরুরিভাবে মিটিং ডাকানো হয়েছে। মিটিং শেষে মামলার সিন্ধান্ত নেব।

এ বিষয়ে ব্যারিস্টার হাসান রাজীব প্রধান বলেন, প্রয়াত নেতার কবর জেয়ারতের দোয়া অনুষ্ঠানে গায়ে পড়ে মারামারির ঘটনা সৃষ্টি করানো একটি রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহিভূত কর্মকাণ্ড। অন্যের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে হামলা করানো তাদের স্বৈরাচারী মনোভারের বহি:প্রকাশ। দোয়া অনুষ্ঠানে হামলা করতে গিয়ে তারা প্রমাণ করলো রাজনৈতিক ভাবে তারা কতটা দেউওলিয়া হয়েছে।

হাতীবান্ধা থানার ওসি শাহা আলম জানান, খবর পাওয়া মাত্র পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ কোনো অভিযোগ দায়ের কারেন নাই।