১০ম শ্রেণির ছাত্রীকে দিয়ে পতিতাবৃত্তি, মামি গ্রেফতার

রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় মামা-মামির সহযোগিতায় ভাগ্নিকে (১৪) পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মেয়েটি বাড্ডার একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী।

এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় মামি রুমাকে (৩২) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ভুক্তভোগী ওই কিশোরীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে।

ভুক্তভোগীর বাবা সাংবাদিকদের বলেন, আমার মেয়ে যখন চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ত, তখন আমার স্ত্রীর বড় ভাইয়ের বাসায় লেখাপড়ার জন্য পাঠানো হয়। এখন মেয়ে ১০ম শ্রেণিতে পড়ে। এই খারাপ কথা মুখে আনতেও লজ্জা করে। মামা-মামী এমন কাজ করতে পারে। তিন বছর ধরে আমার মেয়েকে দিয়ে খারাপ কাজ করায়। ওর মামা নিজেও তার সঙ্গে এসব খারাপ কাজ করে।

তিনি বলেন, ওরা মেয়েকে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে দিত না। পরে মেয়ে আমার কাছে সব খুলে বলে। ওর মামী রুমা ও রুমার বড় বোন তাকে দিয়ে পতিতাবৃত্তি করাত। তার মামা হান্নান চাপরাশি, মামি রুমা ও মামীর বড় বোনের নামে বাড্ডা থানায় মামলা (মামলা নং-৫৪) করেছি। এরপর রুমাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার মামা হান্নান চাপরাশি এখন পলাতক।

এ বিষয়ে বাড্ডা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের বলেন, ভাগ্নিকে দিয়ে মামা-মামি পতিতাবৃত্তি করাত। ওর মামি তাকে পতিতাবৃত্তি করতে বাধ্য করত। পরে মেয়ের বাবা বাদী হয়ে মানবপাচার আইনে মামলা দায়ের করেন।

তিনি বলেন, ভুক্তভোগী ওই মেয়ের মামি রুমাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার মামা হান্নান পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারে চেষ্টা করছি।

তিনি আরও বলেন, ভুক্তভোগী ওই কিশোরীকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য ঢামেক হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে। জানতে পেরেছি, মেয়ের বাবা ওই ঘটনা ধামাচাপা দিতে দুই লাখ টাকা আদায়ের চেষ্টা করেন। তবে, আমরা মেয়ের বক্তব্যের ওপর ভিত্তি করে মামলা নিয়েছি।