১১’র মধ্যে ৯ বারই সেরা মেসি, ‘শূন্য’ রোনালদো!

কেবল গোলের বিচারে নয়, একইসঙ্গে সতীর্থদের দিয়ে গোল করানোর দক্ষতা, পাশাপাশি ড্রিবলিং এবং পাস দেয়ায় সক্ষমতা সব মিলিয়ে একটি পুরস্কার দিয়ে থাকে পরিসংখ্যান ভিত্তিক ওয়েবসাইট ‘WhoScored’। আর এই সবগুলো দক্ষতার সংমিশ্রণ মাঠে দেখিয়ে আরো একবার ইউরোপ সেরার পুরস্কার জিতে নিয়েছেন বার্সেলোনা সুপারস্টার লিওনেল মেসি।

ইউরোপের শীর্ষ ৫ লিগের ফুটবলারদের পরিসংখ্যান বিচার করে গেল ১১ মৌসুম ধরে এই পুরস্কার দিয়ে যাচ্ছে ওয়েবসাইটটি। মজার ব্যাপার হচ্ছে, ১১ বারের মধ্যে ৯ বারই পুরস্কারটি জিতেছেন আর্জেন্টাইন মায়েস্ত্রো মেসি। আর অবাক করা ব্যাপার, ১ বারও পুরস্কারটি জিততে পারেননি মেসির চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।

মেসি ছাড়া ২০১৩-১৪ মৌসুমে পুরস্কারটি জিতেছিলেন তৎকালীন লিভারপুল ফরোয়ার্ড এবং বর্তমানে মেসির বার্সা সতীর্থ লুইস সুয়ারেজ। এছাড়া ২০১৬-১৭ মৌসুমে ১৭টি গোল ও ১৯টি অ্যাসিস্ট করে ইউরোপ সেরার পুরষ্কারটি জিতেছিলেন সেসময়কার মেসিরই সতীর্থ নেইমার জুনিয়র। বাকি সবগুলো পুরষ্কারই গেছে মেসির দখলে।

চলতি মৌসুমে সমর্থকদের প্রত্যাশানুযায়ী বার্সেলোনা পারফর্ম করতে পারছেনা ঠিকই। তবে ব্যক্তি মেসি তার ঝলক দেখিয়েই যাচ্ছেন। চলতি মৌসুমে গোল করার চেয়ে গোল করানোতে বেশি মনোযোগী ক্ষুদে জাদুকর। ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা ফুটবলার চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত করেছেন ৩১ গোল। এরমধ্যে লা লিগায় করেছেন ২৫টি। ফলে রেকর্ড ৭ম বারের মতো জিতেছেন লা লিগার সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরষ্কার পিচিচি ট্রফি। এছাড়া লিগে ২১টি অ্যাসিস্ট করে লা লিগা ইতিহাসে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ অ্যাসিস্টের রেকর্ড গড়েছেন মেসি।

ফুটবল ইতিহাসে কোন ফরোয়ার্ডের এমন নজির নেই, যিনি একইসঙ্গে সর্বোচ্চ গোলদাতা এবং সর্বোচ্চ গোল অ্যাসিস্ট করার রেকর্ড গড়ছেন। কেবল মেসির পক্ষেই সেটি সম্ভব। এবং সে হিসেবেই ‘হু স্কোরড’ মনে করেছে, আরো একবার পুরষ্কারটি তুলে দেয়া যায় বার্সা তারকার হাতে।

চলতি মৌসুমে পারফরম্যান্সের বিচারে সবমিলিয়ে মেসির রেটিং পয়েন্ট ৮.৭১। দুইয়ে থাকা পিএসজি তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে আছেন বেশ দূরেই। তার রেটিং পয়েন্ট ৮.১৪।

বায়ার্ন মিউনিখ তারকা রবার্ট লেওয়ানডস্কি (৮.১৩), ম্যানচেস্টার সিটির মিডফিল্ডার কেভিন ডি ব্রুইনা (৭.৯৭) ও য়্যুভেন্তাস সুপারস্টার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো (৭.৮২) আছেন তালিকার শীর্ষ পাঁচে।