৫৩ পয়েন্টে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি

দেশের বিভিন্ন স্থানে ৫৩টি পয়েন্টে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে কমেছে ৩৪টি পয়েন্টে। আর তিনটি পয়েন্টে পানিপ্রবাহ অপরিবর্তিত রয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত নদ-নদীর পরিস্থিতি সম্পর্কে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, নদ-নদীর ৯০টি সমতল স্টেশনের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী দুটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

ব্রহ্মপুত্র-যমুনা, পদ্মা ও গঙ্গা এবং সুরমা নদীগুলোর পানি সমতলে বৃদ্ধি পাচ্ছে। অন্যদিকে কুশিয়ারা নদীর পানি সমতলে হ্রাস পাচ্ছে।

ব্রহ্মপুত্র-যমুনা এবং গঙ্গা ও পদ্মা নদীর পানি সমতলে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং আগামী ৭২ ঘণ্টায় তা অব্যাহত থাকতে পারে।

আগামী ২৪ ঘণ্টায় সুরমা নদীর পানি সমতলে বৃদ্ধি পেতে পারে, অন্যদিকে কুশিয়ারা নদীর পানি সমতলে হ্রাস অব্যাহত থাকতে পারে।

গতকাল বুধবার সকাল ৯টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ডালিয়া ১৬৪ মিলিমিটার, পঞ্চগড়ে ১৩৮ দশমিক ৫ মিলিমিটার, গাইবান্ধায় ১১৫ মিলিমিটার এবং টেকনাফে ১১২ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

এদিকে আজ সকালে আবহাওয়ার এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, সিলেট, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে।

আবহাওয়ার সংক্ষিপ্তসারে বলা হয়েছে, মৌসুমি বায়ুর বর্ধিতাংশের অক্ষ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, হিমালয়ের পাদদেশীয়, পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত। এর একটি বর্ধিতাংশ বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় বিরাজ করছে।