৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর স্ত্রী জানলেন স্বামী হিন্দু

জুয়েল চন্দ্র দাস নামের এক যুবক নিজের ধর্মীয় পরিচয় গোপন করে শেরপুর জেলার এক তরুণীকে বিয়ে করেছিলেন এক বছর আগে। বিয়ের কয়েক মাসের মাথায় কাউকে কিছু না বলে আত্মগোপনে চলে যান তিনি। সাত মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা স্ত্রী তাকে খুঁজতে খুঁজতে চলে যান লক্ষ্মীপুরের রামগতি থানায়। জানতে পারেন, জুয়েল মুসলিম নন, হিন্দু।

কাজীকে নকল জন্মসনদ দিয়ে বিয়ে করা জুয়েল রামগতির বড়খেরী ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের কালামিয়া পন্ডিতের হাট এলাকার শ্যামল চন্দ্র দাসের ছেলে। জানা গেছে, জুয়েলের বিরুেদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে পুলিশ তার স্ত্রীকে পরামর্শ দিয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলায়মান।

ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিনি ও জুয়েল ঢাকার গাজীপুরে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। এক বছর আগে জুয়েল নিজের ধর্মীয় পরিচয় গোপন করে প্রতারণার মাধ্যমে তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়েন। পরে বিয়ে করেন। বিয়ের দিন কাজীকে মুসলিম পরিচয়ে জন্মসনদ দেন জুয়েল। এরপর থেকে সংসার শুরু করেন তারা। কয়েকমাস পরে জুয়েল আত্মগোপন করেন। এর মধ্যে তার স্ত্রী সন্তানসম্ভবা হন।

গর্ভে সন্তান আসার আগে থেকেই স্বামীকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেন ভুক্তভোগী। গর্ভধারণের পর জুয়েলের খোঁজ করতে করতে তিনি রামগতির বড়খেরী ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের কালামিয়া পন্ডিতের হাট এলাকায় এসে তার খোঁজ পান। তখনই স্বামীর আসল পরিচয় পান ওই নারী।

পুলিশ জানায়, স্বামীর খোঁজে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়াসহ পুলিশের সহায়তা চেয়ে রামগতি থানায় আসেন ভুক্তভোগী। তার গ্রামের বাড়ি শেরপুর জেলায়। ওসি সোলায়মান বলেন, ‘ওই নারীর বক্তব্য শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে জুয়েলের ঠিকানা সংগ্রহ করা হয়। তাকে আইনি ব্যবস্থায় নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’